আব্দুস সামাদ মন্ডল, কলকাতা, আপনজন: সোমবার শিয়ালদহ থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত ওয়াকফ বিলের প্রতিবাদে আইএসএফ এর দলীয় কর্মসূচি ছিল। সেই কর্মসূচিতে দলীয় সমর্থকদের যোগ দিতে আসতে বাধা দেওয়ায় ভাঙড়ের নানা এলাকায় পুলিশের সঙ্গে খণ্ডযদ্ধের ঘটনা ঘটে।
ভাঙড়ে আইএসএফ কর্মী ও পুলিশের খণ্ডযুদ্ধ নিয়ে রাজ্য প্রশসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। নওশাদের অভিযোগ,
সংবিধান বিরোধী আচরণ করেছে রাজ্যের পুলিশ। সব কিছু বাংলার মানুষের হাতে ছেড়ে দিলাম। আমরা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় জবাব দেব। এদিন পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি ছিল শিয়ালদা থেকে ধর্মতলার বাবা সাহেব আম্বেদকরের মূর্তি পর্যন্ত পথযাত্রা করার। সেই মতো বিকাল ৩ তিনটার দিকে শিয়ালদা থেকে পথযাত্রা বের হয়ে মৌলালি পর্যন্ত পৌঁছায়। মৌলালিতে গেলে পুলিশ পথ আটকায়। আইএএফ সমর্থকদের হাতে ছিল জাতীয় পতাকা। পুলিশের দাবি ধর্মতলা যেতে তাদের পারমিশন নেই, তাদেরকে রামলীলা ময়দান পর্যন্ত যেতে দেওয়া হবে।
এ নিয়ে নওশাদ সিদ্দিকি বলেন, পারমিশন ছিল তারপরেও যখন আইন রক্ষক তথা পুলিশ যেটা মানা করছে তাদের কথাকে মান্যতা দিতেই আমরা রামলীলা ময়দানে যাই। নওশাদ বলেন, রাজ্য সরকার ওয়াকফ আইন এখানে লাগু হতে দেবে না বলেছে। আমরাও তাই চাই। যার কারণেই আমাদের আজকের এই কর্মসূচি।
নওশাদ আরও বলেন, সংশোধনীর নামে কেন্দ্র সরকার আমাদের মা-বোনদের বিপদে ফেলেছে। ভুল বোঝানো হচ্ছে যে ধর্মীয় কারণে এর প্রতিবাদে নেমেছে। আমি বলছি, এটা কোনও ধর্মীয় কারণে প্রতিবাদ নয়, এটা একটা আর্থ সামাজিক বিষয়। কৃষক বিলের প্রতিবাদে যেমন গোটা দেশের কৃষক সমাজ পথে নেমেছিল, কেন্দ্রীয় আইন প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয়েছিল, এখানে আমাদেরও তেমনই করতে হবে। আজ মুসলিমদের সম্পত্তি নিয়ে এই আইন করছে, কাল হিন্দু, খ্রিস্টান, শিখদের সম্পত্তি নিয়েও হবে। তা আমাদের রুখতে হবে। তবে শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করতে হবে আমাদের। শান্তিপূর্ণ আন্দোলন না হলে সেখানে আইএসএফ নেই।
কিন্তু এরপরও বিকেলে রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে নতুন করে বিক্ষোভ শুরু হয়। সবমিলিয়ে ওয়াকফ ইস্যুতে পরিস্থিতি যে অগ্নিগর্ভ ছিল সে ছবিই স্পষ্ট হয়ে ওঠে।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct