আপনজন ডেস্ক: মুর্শিদাবাদে চলমান অস্থিরতায় জনগণকে সংযত ও শান্তি বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সমাজমাধ্যমে এক পোস্টে বলেন, সংশোধিত ওয়াকফ আইন রাজ্য সরকার সমর্থন করে না এবং বাংলায় তা বলবৎ হবে না। তিনি আবেদন জানান, ধর্মকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার না করার ও শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখার আর্জি জানান একইসঙ্গে হুঁশিয়ারি দিয়ে জানান, যারা হিংসা ছড়াবে, তাদের কাউকে রেয়াত করা হবে না। এ ব্যাপারে সোশ্যাল মিডিয়া এক্স-এ টুইট করে মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, ‘আমি সমস্ত ধর্মের কাছে আবেদন করছি, দয়া করে শান্ত থাকুন এবং সংযত থাকুন। ধর্মের নামে কোনও অধার্মিক কাজ করবেন না। প্রতিটি মানুষের জীবনই গুরুত্বপূর্ণ।. রাজনৈতিক কারণে দাঙ্গায় উস্কানি দেবেন না। যারা দাঙ্গা করছে তারা মূলত সমাজের ক্ষতি করছে। মনে রাখতে হবে কেন্দ্রীয় সরকার এই আইন চালু করেছে। তাই জানতে চাইলে কেন্দ্রকে জিজ্ঞাসা করুন। আমরা ইতিমধ্যেই আমাদের অবস্থান স্পষ্ট করেছি যে আমরা এই জাতীয় আইনকে সমর্থন করি না। আমরা আমাদের রাজ্যে এই আইন প্রয়োগ করব না। তাহলে দাঙ্গা করছ কেন? যারাই দাঙ্গায় উস্কানি দেবে, আমরা তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেব। আমরা কোনও হিংসা বরদাস্ত করব না।’
এছাড়া, তৃণমূল কংগ্রেরে সর্বভারতীয় সম্পাদক অভিষেক বলেন, অনেকে রাজনৈতিকভাবে উন্নয়নের পরিসংখ্যানের মোকাবিলা না করতে পেরে ধর্মের নামে ভেদাভেদ করে বাংলাকে অশান্ত করার চেষ্টা করছে। আমি সকলকে অনুরোধ করব, বাংলার কৃষ্টি, সংস্কৃতি বজায় রেখে, এলাকার শান্তি-শৃঙ্খলা এবং সম্প্রীতি যাতে অক্ষুণ্ণ থাকে, তার জন্য আমাদের সকলকে সজাগ থাকতে হবে। অন্যদিকে, প্রাক্তন সাংসদ অধীর চৌধুরি দিল্লি থেকে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে কথা বলেন। জেলার কংগ্রেস নেতাদের সঙ্গেও যোগাযোগ করেন অধীর। পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অধীর। অধীর জানিয়েছেন, পুলিশ প্রাথমিকভাবে নিষ্ক্রিয় ছিল। সেকারণেই এই ধরনের ঘটনা হয়েছে। তবে শান্তিরক্ষায় তিনি সবরকম আবেদন জানিয়েছেন। তিনি জানিয়ে দিয়েছেন শান্তিরক্ষায় যা করতে হয় আমি করব। কংগ্রেস করবে। কথা বলেছেন জেলার কংগ্রেস নেতাদের সঙ্গে। একটাই আবেদন, শান্তি ফিরুক মুর্শিদাবাদে।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct