নিজস্ব প্রতিবেদক, হুগলি, আপনজন: হুগলির চাঁপদানিতে ৯ তারিখের একটি শোভাযাত্রাকে ঘিরে উত্তেজনা চরমে পৌছল আজ। দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ বাধল। অভিযোগ, ওই শোভাযাত্রা চলাকালীন একটি অন্য গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে আপত্তিকর স্লোগান তোলা হয়। সেই ঘটনার একটি ভিডিও দ্রুত সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে পড়ে। ফলত, স্থানীয় মানুষ ক্ষুব্ধ হয়ে চাঁপদানী পুলিশ ফাঁড়ি ও পলতা ঘাটের কাছে জিটি রোড অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করে।
বিক্ষোভ দীর্ঘ সময় ধরে চলায় গুরুত্বপূর্ণ জিটি রোডে যান চলাচল সম্পূর্ণ স্তব্ধ হয়ে যায়। পুলিশের তরফ থেকে বারবার অনুরোধ করা হলেও উত্তেজিত জনতা রাস্তা ছাড়তে রাজি হয়নি। একপর্যায়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে। পুলিশের এই পদক্ষেপে উত্তেজনা আরও বেড়ে যায়। সংঘর্ষে কয়েকজন আহত হন বলে খবর পাওয়া গেছে এবং পুলিশ বেশ কয়েকজনকে আটক করেছে।ঘটনার গুরুত্ব বুঝে চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের কমিশনার অমিত পি জাভালগি নিজে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। তাঁর সঙ্গে উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিকরাও ছিলেন। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে চাঁপদানীর কিছু এলাকায় ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ১৬৩ ধারা জারি করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, চাঁপদানীর বিএম রোড সংলগ্ন কয়েকটি বাড়ি ও দোকানে হামলা ও ভাঙচুর চালানো হয়। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনও নির্দিষ্টভাবে জানা যায়নি। আতঙ্কে বহু মানুষ বাড়ির বাইরে বেরোতে সাহস পাচ্ছেন না।
বর্তমানে এলাকায় টহল দিচ্ছে বিশাল পুলিশ বাহিনী। চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের অধীনে স্পেশাল র্যাফ ও কুইক রেসপন্স টিম মোতায়েন করা হয়েছে। জেলার প্রশাসনিক মহল থেকেও শান্তি বজায় রাখতে সাধারণ মানুষকে উসকানিমূলক কোনও কাজ না করার অনুরোধ জানানো হয়েছে। ভাইরাল ভিডিও এবং গুজব ঠেকাতে সোশ্যাল মিডিয়ার উপর কড়া নজরদারি চালাচ্ছে সাইবার সেল। বিভ্রান্তিকর পোস্ট ছড়ালে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে পুলিশ প্রশাসন।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলো এলাকা এখনও থমথমে।
প্রশাসনের তরফ থেকে শান্তি ও সম্প্রীতির আবেদন জানানো হয়েছে সকলের প্রতি।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct