জিয়াউল হক, চুঁচুড়া, আপনজন: চুঁচুড়ায় পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কর্মচারী ফেডারেশনের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হল প্রথম হুগলি জেলা সম্মেলন। চুঁচুড়ার রবীন্দ্রভবনে এই সম্মেলনের আয়োজন করা হয়, যা জেলার সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে যথেষ্ট উৎসাহ ও উদ্দীপনা সৃষ্টি করে।সম্মেলনের সূচনালগ্নে ফেডারেশনের সদস্যরা চুঁচুড়ার ডি আই অফিস সংলগ্ন মাঠে একত্রিত হয়ে একটি বিশাল মিছিল করেন। এই মিছিল শহরের প্রধান রাস্তাগুলি পরিক্রমা করে পৌঁছায় রবীন্দ্রভবনে, যেখানে অনুষ্ঠিত হয় মূল অনুষ্ঠান।অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মন্ত্রী ও ফেডারেশনের চেয়ারম্যান মানস রঞ্জন ভূঁইয়া। তিনি তাঁর বক্তব্যে কেন্দ্র সরকার কর্তৃক রাজ্যের প্রতি আর্থিক বঞ্চনা, বেতন খাতে অনুদান বিলম্ব এবং বিভিন্ন সামাজিক প্রকল্পে বরাদ্দ হ্রাসের বিরুদ্ধে সরব হন।
তাঁর সাথে মঞ্চ ভাগ করেন ফেডারেশনের রাজ্য আহ্বায়ক প্রতাপ নায়েক, যিনি সরকারি কর্মচারীদের যৌক্তিক দাবি এবং অধিকারের প্রশ্নে ফেডারেশনের দৃঢ় অবস্থানের কথা তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন হুগলি জেলা পরিষদের সভাধিপতি রঞ্জন ধারা, চন্দননগরের মহানাগরিক রাম চক্রবর্তী, হুগলি-চুঁচুড়া পৌরসভার চেয়ারম্যান অমিত রায়, তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি ও বিধায়ক অরিন্দম গুইন এবং বলাগড়ের বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী সহ দলের অন্যান্য শীর্ষ নেতৃবৃন্দ। সম্মেলনে আলোচিত মূল বিষয়গুলোর মধ্যে ছিল কেন্দ্রের জনবিরোধী নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ, যেমন ওষুধ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের লাগামছাড়া মূল্যবৃদ্ধি, পেনশন সংক্রান্ত অনিশ্চয়তা এবং কর্মচারীদের মর্যাদার প্রশ্ন। বক্তারা জানান, এই পরিস্থিতির পরিবর্তনের জন্য বৃহত্তর গণআন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
সর্বোপরি, এদিনের সম্মেলন ছিল কেন্দ্র সরকারের একাধিক জনবিরোধী সিদ্ধান্ত ও রাজ্যের প্রতি আর্থিক বঞ্চনার বিরুদ্ধে এক ঐক্যবদ্ধ প্রতিবাদ — যেখানে কর্মচারীদের স্বার্থ রক্ষায় ভবিষ্যতে আরও তীব্র আন্দোলনের ইঙ্গিত মিলেছে।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct