সেখ রিয়াজুদ্দিন ও আজিম শেখ, বীরভূম, আপনজন: বাল্যবিবাহ, কিশোরী গর্ভাবস্থা তথা কম বয়সে মাতৃত্ব নিবারণের লক্ষ্যে স্বাস্থ্য দপ্তর সহ জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বিভিন্ন ধরনের সচেতনতা মূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয় । উল্লেখ্য জেলার বুকে এই সমস্যা প্রশাসন সহ বিভিন্ন স্তরের আধিকারিকদের মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এনিয়ে বিভিন্ন ধরনের সচেতনতা মূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়।এতদসত্ত্বেও বাল্যবিবাহ বন্ধ করা যাচ্ছে না। প্রশাসনের ভয়ে বা নজর এড়াতে পার্শ্ববর্তী ঝাড়খণ্ড রাজ্যের আত্মীয় স্বজনের বাড়ি থেকে বিয়ের বন্দোবস্ত করা হচ্ছে বলে এরকম খবর পাওয়া গেছে। সম্প্রতি বাল্য বিবাহ বন্ধের ব্যাপারে একযোগে জেলাব্যাপী বিশেষ সচেতনতা মূলক কর্মসূচি পালন করা হয়। জেলার বুকে মাত্রাতিরিক্ত হারে বাড়ছে বাল্যবিবাহ। পড়াশোনা, সঠিক বয়সে বিবাহের লক্ষ্যে মুখ্যমন্ত্রী চালু করেছেন কন্যাশ্রী,রুপশ্রী প্রকল্প তবুও কমছে না বাল্য বিবাহ। সচেতনতা মূলক অনুষ্ঠান সহ নানান পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয় বাল্যবিবাহ রোধে। তথাপি রোধ করা সম্ভব হচ্ছে না যারপরনাই জেলা প্রশাসন সহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ও আধিকারিকদের নিয়ে ২৪ শে মার্চ জেলা জুড়ে একযোগে সর্বত্র বিশেষ কর্মসূচি পালিত হয় জেলার প্রতিটি অষ্টম শ্রেণী থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত বিদ্যালয়গুলোতে।এক পরিসংখ্যানে জানা যায় ২০২৪ সালের এপ্রিল থেকে ২০২৫ সালের জানুয়ারি মাস পর্যন্ত সিউড়ি মহকুমায় চুয়াল্লিশটি বাল্যবিবাহ বন্ধ করা গিয়েছে কিন্তু ৩২১৮টি বাল্যবিবাহ রোখা যায় নি। রামপুরহাট মহকুমায় ৪৩টি বাল্যবিবাহ বন্ধ করা গিয়েছে কিন্তু ৫৩৯৮টি বাল্যবিবাহ রোখা যায় নি । সেরূপ নবতম সংযোজন
জেলার মল্লারপুর এলাকায় এক নাবালিকার বিয়ে রুখলো প্রশাসন। পুলিশ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে মল্লারপুর থানা এলাকায় একটি নাবালিকার বিয়ে বন্ধ করে দেয়। জানা যায় যে নাবালিকা মেয়েটির বিয়ে ঠিক হয়ে ছিল সাঁইথিয়া থানার একটি গ্রামে।আগামী ১৩ই এপ্রিল তারিখে তাদের বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। গোপনসূত্রে খবর পাওয়া মাত্রই মল্লারপুর থানার পুলিশ মেয়ের বাড়িতে উপস্থিত হয় এবং বিয়ের আয়োজন বন্ধের ব্যবস্থা করে। মেয়ের বাবা ও মা কে বোঝানো হয় যে ১৮ বছরের নিচে মেয়ের বিয়ে দিলে কি কি শারীরিক ও মানসিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়। আলোচনা শেষে নাবালিকার বাবার কাছে মুচলেখা নেওয়া হয় এই মর্মে যে মেয়ের বয়স ১৮ বছর না হওয়া পর্যন্ত তারা তাদের মেয়ের বিয়ে দেবে না। বাল্যবিবাহ রোধে এত ঢাকঢোল পিটিয়ে প্রচার করাই কি সার? উঠছে প্রশ্ন।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct