আপনজন ডেস্ক: লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে অনুরোধ করেছেন বাংলার স্কুলগুলির শিক্ষক এবং অশিক্ষক কর্মচারীরা যারা “ন্যায্য উপায়ে” তাদের চাকরি পেয়েছেন তাদের কাজ চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেওয়ার জন্য।
প্রাক্তন শিক্ষক রাষ্ট্রপতিকে লেখা চিঠিতে রাহুল লিখেছেন, আপনি নিজে শিক্ষক হিসেবে কাজ করেছেন। আমি নিশ্চিত আপনি শিক্ষকদের, তাদের পরিবার ও শিক্ষার্থীদের প্রতি এই অবিচারের বিশাল মানবিক মূল্য বুঝতে পেরেছেন। আমি আপনাকে অনুরোধ করছি দয়া করে তাদের অনুরোধটি বিশেষভাবে বিবেচনা করুন এবং ন্যায্য উপায়ে নির্বাচিত প্রার্থীদের চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেওয়ার ব্যবস্থা করুন। তাই এই বিষয়ে আপনার হস্তক্ষেপ করার জন্য অনুরোধ করছি।
রাহুল বলেন, যোগ্য ও অযোগ্য শিক্ষকদের সাথে সমান আচরণ করা অন্যায় হবে। সুপ্রিম কোর্ট ২৫ হাজার ৭৫৩ জন শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মীর নিয়োগ প্রক্রিয়াকে ‘বেআইনি’ আখ্যা দিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের রায়কে বহাল রাখার একদিন পর শনিবার নয়াদিল্লিতে রাহুলের সঙ্গে দেখা করেন পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল। কলকাতা হাইকোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্ট উভয়ই রাজ্য সরকার এবং স্কুল সার্ভিস কমিশনকে নির্দেশ দিয়েছিল যারা যথাযথ প্রক্রিয়ায় চাকরি পেয়েছে তাদের এবং যারা চাকরি কিনেছেন বলে অভিযোগ তাদের আলাদা করে চিহ্নিত করতে।
রাহুল তার এক্স (প্রাক্তন টুইটার) হ্যান্ডেলে লিখেছেন, বিচার বিভাগ কর্তৃক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করার ফলে পশ্চিমবঙ্গের হাজার হাজার যোগ্য স্কুল শিক্ষক যারা চাকরি হারিয়েছেন, তাদের বিষয়ে আমি রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে তাঁর সদয় হস্তক্ষেপ চেয়ে চিঠি লিখেছি। কলকাতা হাইকোর্ট শিক্ষক নিয়োগে গুরুতর অনিয়ম খুঁজে পায় এবং পুরো প্রক্রিয়াটিকে বাতিল ঘোষণা করে। গত ৩ এপ্রিল হাইকোর্টের রায় বহাল রাখেন আপিল বিভাগ। রায়ের পর থেকে যে শিক্ষক ও কর্মীরা চাকরিচ্যুত হতে চলেছেন, তারা কোনও প্রতিকারের আশা প্রায় ছেড়েই দিয়েছেন। রাহুল লিখেছেন, উভয় রায়ে দেখা গেছে যে কিছু প্রার্থী নিষ্কলঙ্ক এবং তাদেরকে ন্যায্য উপায়ে নির্বাচিত করা হয়েছে এবং কিছু ‘দুর্নীতিগ্রস্ত’ প্রার্থীকে অন্যায্য উপায়ে নির্বাচিত করা হয়েছে। তাদের সঙ্গে সমান আচরণ করা গুরুতর অন্যায়।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct