বাঙালির ঘরে ঘরে এখন ক্যাপসিকাম দেখতে পাওয়া যায়। চাউমিন রান্না থেকে শুরু করে চিকেন চিলি সব ক্ষেত্রেই ক্যাপিসকামের ব্যবহার সর্বাধিক। ক্যাপসিকামের আরেক নাম বেল পিপার। লাল, সবুজ ও হলুদ বর্ণে পাওয়া যায় এই মিষ্টি মরিচ। জনপ্রিয় ক্যাপসিকাম অন্যান্য সবজির পাশাপাশি বাজারে সহজাত। কিন্তু পুষ্টিগুণের বিচারে ক্যাপসিকামের জুড়ি নেই। প্রতি ১০০ গ্রাম ক্যাপসিকামে রয়েছে- ৮৬০ মিলিগ্রাম প্রোটিন ৪.৬০ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট ১.৭০ মিলিগ্রাম স্নেহ, ৮০ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি এবং ৩৭০ আইইউ ভিটামিন এ।
এছাড়াও রয়েছে সামান্য পরিমাণ ভিটামিন ই, ভিটামিন কে, ভিটামিন বি৬, থায়ামিন ও ফলিক এসিড। খণিজ উপাদানের মধ্যে রয়েছে ক্যালসিয়াম, আয়রন, পটাশিয়াম, ফসফরাস, জিংক, কপার ইত্যাদি। পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ হওয়ায় ক্যাপসিকামে রয়েছে নানা স্বাস্থ্যগুণ। যেমন-
ক্যাপসিকাম দেহের বাড়তি ক্যালরি পূরণে সাহায্য করে। ফলে উচ্চ চর্বি থেকে স্থূলতা হওয়ার সুযোগ হ্রাস করে। এতে রয়েছে ক্যাপসাইসিনস। যা ডিএনএর সঙ্গে যুক্ত হয়ে ক্যান্সার সৃষ্টিকারী উপাদানের সাথে সংযুক্ত হতে বাধা দেয়। তাই এটি ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়তা করে। অ্যালকালয়েড সমৃদ্ধ হওয়ায় এটি অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি ও অ্যান্টি অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে।ক্যাপসিকামে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। ভিটামিন সি দেহে আয়রন শোষণে সহায়তা করে। ভিটামিন এ, সি এবং বিটা ক্যারোটিন সমৃদ্ধ হওয়ায় দৃষ্টিশক্তি সংক্রান্ত নানা সমস্যা দূর করে এবং দৃষ্টিশক্তি উন্নত করতে সাহায্য করে। নানা রোগে তাই ক্যাপসিকামখুবই উপযোগী।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct