চন্দনা বন্দ্যোপাধ্যায়, সোনারপুর, আপনজন: সুপ্রিম কোর্টের রায়ে এবার কাজ হারালো রাজপুর সোনারপুর পৌরসভার তৃনমূলের এক কাউন্সিলার। কর্মহীন হয়ে পড়লেন রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার কুহেলি ঘোষ।এক সময় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করতেন কুহেলি, পরে ২০১৬ সালের এসএসসি প্যানেলের মাধ্যমে হাইস্কুলে চাকরি পান। সুপ্রিম কোর্টের রায়ে সেই প্যানেলই বাতিল হওয়ায় ফের অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছেন এই তৃণমূল কাউন্সিলর। এই পরিস্থিতিতে খানিকটা হতাশ কুহেলি, কারণ আদালতের নির্দেশে আগের চাকরিতে ফেরার প্রসঙ্গ থাকলেও সেই বিষয়ে কোনো সুস্পষ্ট নির্দেশিকা এখনো হাতে পাননি তিনি। ফলে আগামী দিনের পরিকল্পনা নিয়েও তিনি বেশ ধোঁয়াশায় রয়েছে।তবে নিজের যোগ্যতা নিয়ে পুরোপুরি আত্মবিশ্বাসী কুহেলি ঘোষ। পড়াশুনায় বরাবরই ছিলেন মেধাবী। মাধ্যমিকে স্কুলে সর্বোচ্চ নম্বর পাওয়া ছাত্রী ছিলেন তিনি। স্নাতক পাশ করেন দক্ষিণ কলকাতার নামী অ্যান্ড্রুজ কলেজ থেকে,এরপর কলকাতা বিশ্ব বিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স ও বিএড ডিগ্রি অর্জন করেন। তাঁর দাবি, সম্পূর্ণ যোগ্যতার ভিত্তিতেই তিনি চাকরি পেয়েছিলেন। বিরোধীদের দুর্নীতির অভিযোগকে তিনি তেমন গুরুত্ব দিতে নারাজ। যদিও হাইস্কুলের চাকরি আপাতত চলে গেলেও কোর্টের পর্যবেক্ষণে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তাঁর পূর্বতন চাকরিতে ফিরে যাওয়ার সুযোগ উন্মুক্ত রয়েছে বলে আশা প্রকাশ করেছেন কুহেলি। তিনি জানান,আমি পাঁচ বছর প্রাইমারিতে কাজ করেছি। কোর্ট আগের চাকরিতে ফেরার বিষয়ে বলেছে, তাই কিছুটা হলেও নিশ্চিন্ত। তবে এখনো কোনো নির্দিষ্ট অর্ডার পাইনি, ফলে দুশ্চিন্তা রয়েই গেছে।এসএসসি দুর্নীতির মামলায় এই রায় রাজ্য রাজনীতিতে নতুন করে আলোড়ন তুলেছে।একদিকে চাকরি হারানোর যন্ত্রণা,অন্যদিকে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের চাপে পড়ে এখন দোটানায় কুহেলি ঘোষ সহ হাজার হাজার প্রভাবিত কর্মী।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct