সঞ্জীব মল্লিক, বাঁকুড়া, আপনজন: আদালতের রায়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের চাকরি হারিয়ে দিশেহারা স্কুল, একইসঙ্গে চাকরি হারিয়েছে গ্রুপ ডি কর্মীও, স্কুলে চলছে পরীক্ষা, বাধ্য হয়েই ঘণ্টা বাজানো, বিদ্যালয়ের চাবি খোলা এবং অফিসের সমস্ত দায়িত্ব সামলাচ্ছেন সহকারী শিক্ষকরা ।
মহামান্য আদালতের রায়ে ইতিমধ্যেই চাকরি হারিয়েছেন রাজ্যের প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক। এদের মধ্যে রয়েছে বাঁকুড়া জেলার ইন্দাস ব্লকের ছোট গোবিন্দপুর এসএন পাঁজা হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক এবং এক গ্রুপ ডি কর্মী। স্বাভাবিকভাবেই প্রধান শিক্ষকের চাকরি যাওয়াতে অভিভাবকহীন হয়ে পড়েছে স্কুল। পাশাপাশি গ্রুপ ডি কর্মীর কাজও করার কেউ নেই। অন্যদিকে বিদ্যালয়ে পঞ্চম থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত চলছে পরীক্ষা। এই বিদ্যালয়ে স্থায়ী শিক্ষক ছিলেন ১০ জন এখন রইল ৯ জন। একজন ছিলেন গ্রুপ ডি কর্মী। বিদ্যালয়ে রয়েছে ৩১৫ জন ছাত্রছাত্রী। সহকারি শিক্ষকরা জানাচ্ছেন যেহেতু বিজ্ঞান বিষয়ের শিক্ষক ছিলেন ওই প্রধান শিক্ষক। তিনি মাঝেমধ্যেই ছাত্রদের ক্লাস নিতেন। এখন প্রধান শিক্ষক না থাকায় ব্যাপক সমস্যায় পড়েছে স্কুল। সহকারী শিক্ষকরা আরও জানাচ্ছেন এক প্রকার বিদ্যালয় অভিভাবকহীন হয়ে পড়েছে।
ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবকরা জানাচ্ছেন ঘরের গার্জেন না থাকলে যেমন ছেলেরা অনাথ হয়ে যায় একইভাবে স্কুলের প্রধান শিক্ষক না থাকলে শিক্ষকমন্ডলী এবং ছাত্র-ছাত্রীরা অসহায় হয়ে পড়ে। প্রধান শিক্ষক না থাকলে বিদ্যালয়ের গঠন পাঠন থেকে শুরু করে সমস্ত বিষয়ে দুরবস্থার মধ্যে পড়ে যায়। একেতেই পর্যাপ্ত পরিমাণে শিক্ষক নেই তারপর প্রধান শিক্ষক চলে গেলে সমস্যা। পাশাপাশি গ্রুপ ডি কর্মী যেহেতু চলে গেছে এখন অন্যান্য শিক্ষকরা ঘন্টা পিটাবেন নাকি লেখাপড়া করাবেন। যে কারণেই দুশ্চিন্তায় রয়েছে অভিভাবকরা।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct