আপনজন ডেস্ক: মিশর ও কাতারের মধ্যস্থতায় গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব গ্রহণ করেছে হামাস। শনিবার (২৯ মার্চ) ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীটির প্রধান খলিল আল-হাইয়া এ তথ্য জানিয়েছেন। খবর বিবিসির। খলিল আল-হাইয়া এক টেলিভিশন ভাষণে বলেন, ‘দুই দিন আগে আমরা মিশর ও কাতারের মধ্যস্থতায় একটি প্রস্তাব পেয়েছি। আমরা ইতিবাচকভাবে এটি গ্রহণ করেছি।’ হাইয়া আরও বলেন, ‘আমরা আশা করি যে (ইসরাইলি) দখলদাররা এটিকে ব্যাহত করবে না।’ হামাস ও ইসরাইলের মধ্যে চলমান পরোক্ষ আলোচনায় গাজায় যুদ্ধবিরতি নিশ্চিতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন তিনি।
মিশর ইতোমধ্যে ইসরাইল থেকে নতুন যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনার বিষয়ে ইতিবাচক ইঙ্গিত পেয়েছে বলে বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন নিরাপত্তা সূত্রগুলো। প্রস্তাব অনুযায়ী, হামাস প্রতি সপ্তাহে পাঁচজন ইসরাইলি বন্দিকে মুক্তি দেবে।
এদিকে, ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় জানিয়েছে, মধ্যস্থতাকারীদের কাছ থেকে পাওয়া প্রস্তাবের ভিত্তিতে তারা একটি ‘পাল্টা প্রস্তাব’ পাঠিয়েছে, যা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পূর্ণ সমন্বিতভাবে তৈরি হয়েছে।
প্রথম ধাপে ১৫ মাসের যুদ্ধের পর গাজায় ১৯ জানুয়ারি যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়, যাতে সংঘর্ষ বন্ধ করা, কিছু ইসরাইলি বন্দিকে মুক্ত করা এবং কিছু ফিলিস্তিনি বন্দিকে ছাড়ার চুক্তি অন্তর্ভুক্ত ছিল।
দ্বিতীয় ধাপে অবশিষ্ট বন্দিদের মুক্তির বিষয়ে সমঝোতা এবং গাজা থেকে ইসরাইলি বাহিনী প্রত্যাহারের পরিকল্পনা রয়েছে।
হামাস বলছে, যুদ্ধবিরতির যেকোনো প্রস্তাবের মধ্যে দ্বিতীয় ধাপে যাওয়ার নিশ্চয়তা থাকতে হবে, যেখানে ইসরাইল প্রাথমিক ৪২ দিনের যুদ্ধবিরতি বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে।
শনিবারও গাজায় ইসরাইলি হামলায় কমপক্ষে ২৪ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগ।
ইসরাইলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা দক্ষিণ গাজার রাফাহ এলাকার জেনিনা মহল্লায় ‘স্থল অভিযান’ শুরু করেছে এবং এটি তাদের নিরাপত্তা অঞ্চল সম্প্রসারণের অংশ।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct