আপনজন ডেস্ক: নোভাক জোকোভিচ নিজেও তো আর কম বড় তারকা নন। টেনিস ইতিহাসে তাঁর চেয়ে বেশি গ্র্যান্ড স্লাম জেতেননি অন্য কেউ। তাঁর খেলা দেখতে গ্যালারিতে হাজির হন হাজারো মানুষ। দুনিয়াজুড়ে এই টেনিস তারকার খ্যাতি। এত বছরের ক্যারিয়ারে বহু দর্শকই তাঁর খেলা দেখেছেন। কিন্তু মায়ামি ওপেনে তাঁর খেলা দেখেছেন এমন একজন, যা কিনা ‘দারুণ গর্বেরই’ বিষয় হয়ে গেছে জোকোভিচের জন্য।
তা কে এই দর্শক? অনুমান করাটা খুব কঠিন নয়। মায়ামি ওপেনের সেমিফাইনালে গ্রিগর দিমিত্রভকে হারিয়েছেন জোকোভিচ, এই ম্যাচ গ্যালারিতে বসে দেখেছেন আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক লিওনেল মেসি।
আর্জেন্টিনার হয়ে বিশ্বকাপ, বার্সেলোনার হয়ে চারটি চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতা এই মহাতারকা খেলা দেখেছেন—ওই অনুভূতি জানিয়ে জোকোভিচ পরে বলেছেন, ‘মেসিকে (গ্যালারিতে) পাওয়াটা অসাধারণ বিষয়। তাঁর সামনে সম্ভবত প্রথমবার সরাসরি খেলতে পারাটা দারুণ গর্বের। আমি কৃতজ্ঞ সে ও তার ছেলেরা এখানে এসেছে। বাকি দুনিয়ার মতো আমিও তার ক্যারিয়ার এবং যেভাবে সে এখনো চালিয়ে যাচ্ছে, সে জন্য প্রশংসা করি।’
শুধু তো মেসি নন, গ্যালারিতে হাজির হয়েছিলেন তাঁর পরিবারের অন্য সদস্যরাও। মেসির সব ছেলেরাও ছিলেন। তার মধ্যে একজনের সঙ্গে একটা গল্পও জানিয়েছেন জোকোভিচ, ‘মেসি শুধু ফুটবলার না, দুর্দান্ত একজন অ্যাথলেটও। গত ২০ বছর ধরে খেলায় তার প্রভাব বিরাট। সে আমাকে সরাসরি খেলতে দেখছে, তা দারুণ আনন্দের ও রোমাঞ্চকর, সত্যি বলতে কিছুটা চাপেরও (হাসি)। তার এক সন্তান আমাকে ১০–এ ৮ দিয়েছে, যেটা খুবই ভালো। গুরুগম্ভীর চেহারা নিয়ে সে এসে আমাকে বলেছে, পরের ম্যাচে কিন্তু ১০-এ ১০ পেতে হবে। আমি তাই কিছুটা চাপেই আছি মেসির ছেলের তরফ থেকে।’
মেসি ও জোকোভিচের মিল আছে অন্য জায়গায়ও—দুজনেই যে বয়সটাকে শুধু সংখ্যাই বানিয়ে রেখেছেন। ৩৫ বছরে এসে প্রথমবার বিশ্বকাপ জেতা মেসি পরের বছর জেতেন ব্যালন ডি’অর। আরেক দিকে ২০০৬ সাল থেকে টানা ২০ বছর একটি করে হলেও ফাইনাল খেলেছেন সর্বোচ্চ ২৪টি গ্র্যান্ড স্লামজয়ী জোকোভিচ।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct