আপনজন ডেস্ক: মায়ানমারের একটি প্রত্যন্ত গ্রামের মেডিক্যাল ক্লিনিকে সামরিক জান্তার বিমান হামলায় ১১ জন নিহত হয়েছে, যাদের মধ্যে একজন চিকিৎসক ও তার স্ত্রীও রয়েছেন। স্থানীয়দের বরাত দিয়ে এএফপি সোমবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
স্থানীয়রা জানায়, স্থানীয় সময় শনিবার সকালে এই বিমান হামলাটি হয় মাগওয়ে অঞ্চলের হান খার গ্রামে, যা বর্তমানে অভ্যুত্থানবিরোধী বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এই প্রত্যক্ষদর্শী জানান, নিহতদের মধ্যে একজন চিকিৎসক ও তার স্ত্রী ছিলেন।
বিস্ফোরণে তাদের দেহ ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়। হামলায় একটি বাড়ির ভেতরে খোলা অস্থায়ী ক্লিনিকটি বিধ্বস্ত হয়। পরিচয় না প্রকাশের শর্তে আরেক স্থানীয় বাসিন্দা সোমবার বলেন, ‘সাম্প্রতিক মাসগুলোতে সামরিক বাহিনী বিমান হামলা বাড়িয়ে দিয়েছে, ফলে সব বেসামরিক লোকজন আতঙ্কে রয়েছে। তারা সব সময় সামরিক বাহিনীর যুদ্ধবিমানের শব্দ শুনছে এবং যেকোনো সময় লুকানোর জন্য প্রস্তুত থাকছে।’ যদিও মায়ানমারের সামরিক বাহিনী ব্যাপকভাবে ভূখণ্ড হারিয়েছে, তবে বিশ্লেষকদের মতে, রাশিয়ার প্রযুক্তিগত সহায়তায় চালিত শক্তিশালী বিমানবাহিনীই এখন পর্যন্ত প্রতিপক্ষ বাহিনীকে প্রতিহত করার মূল অস্ত্র হিসেবে কাজ করছে।
সশস্ত্র সংঘাত পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আর্মড কনফ্লিক্ট লোকেশন অ্যান্ড ইভেন্ট ডাটা (এসিএলইডি) জানিয়েছে, মায়ানমারে চলমান গৃহযুদ্ধে প্রতিবছর বেসামরিক জনগণের ওপর সামরিক বাহিনীর বিমান হামলার সংখ্যা বেড়েছে। ২০২৪ সালে প্রায় ৮০০টি বিমান হামলার ঘটনা ঘটেছে, যা আগের বছরের তুলনায় তিন গুণ বেশি।
এ ছাড়া এসিএলইডি পূর্বাভাস দিয়েছে, জান্তা ভবিষ্যতেও বিমান হামলার ওপর আরো বেশি নির্ভর করবে, কারণ তারা ভূমিতে ক্রমবর্ধমান সামরিক চাপে রয়েছে।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct