অমরজিৎ সিংহ রায়, বালুরঘাট, আপনজন: সেতুর দাবিতে পথ অবরোধ গ্রামবাসীদের। ঘটনায় পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন গ্রামবাসীরা।
পাশাপাশি আগামী বিধানসভা নির্বাচনের আগে সেতু নির্মাণের কাজ শুরু করা না হলে গ্রামবাসীদের তরফে দেওয়া হয়েছে ভোট বয়কটের হুঁশিয়ারি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ ও প্রশাসনের আধিকারিকেরা। অবশেষে প্রশাসনের আশ্বাসে স্বাভাবিক হয় পরিস্থিতি এবং শুরু হয় যান চলাচল।
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কুমারগঞ্জ ব্লকের অন্তর্গত ছাতিনতৈড় এলাকার ঘটনা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ছাতিনতৈড় গ্রামের বাসিন্দাদের দীর্ঘদিনের দাবি ঝাউবাড়ি খাঁড়ির উপর একটি সেতু নির্মাণের। কিন্তু বারবার সেতু নির্মাণের বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আনলেও কোন লাভ হয়নি।
অবশেষে এদিন কলাবাড়ি এলাকায় কুমারগঞ্জ-বাহিচা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন গ্রামবাসীরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় কুমারগঞ্জ থানার পুলিশ ও ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকেরা। তাঁদের আশ্বাসে স্বাভাবিক হয় পরিস্থিতি এবং শুরু হয় যান চলাচল।
এবিষয়ে এলাকার বাসিন্দা ইনজামামুল হক জানান, ‘ছাতিনতৈড় গ্রামে প্রায় তিন হাজার লোক বসবাস করেন। সাঁকোর উপর দিয়ে আমাদের নিত্যদিন যাতায়াত করতে হয়। ২০১৭ সালের বন্যায় এখানে কাঠের ব্রিজ ভেঙ্গে গিয়েছিল। তারপর থেকেই বেশ সমস্যায় রয়েছি আমরা। বাঁশের সাঁকো থেকে পড়ে গিয়ে অনেকের হাত-পা ভেঙে গিয়েছে। বিষয়টি আমরা তদানীন্তন এমএলএ (প্রাক্তন) কেউ জানিয়েছিলাম কিন্তু কোন লাভ হয়নি! বর্তমান এমএলএ, জেলা শাসক, সাংসদ এবং রাজ্যের মন্ত্রী সকলকে ইমেইল করে জানিয়েছি কিন্তু কোন সদুত্তর পায়নি! আজ আমরা আবার ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক এর কাছে লিখিত আকারে আমাদের দাবি পত্র তুলে ধরব। ২০২৬ সালের আগে এই সেতু নির্মাণ না হলে আমরা আগামী বিধানসভা ভোট বয়কট করব।’
জানা গিয়েছে, ছাতিনতৈড় ও ঝাউবাড়ির মাঝ বরাবর রাস্তায় বাঁশের সাঁকো থাকায় যাতায়াতের ক্ষেত্রে বেশ সমস্যায় পড়তে হয় গ্রামবাসীদের। সমস্যা আরো তীব্র আকার ধারণ করে বর্ষাকালে। তাছাড়াও সেতু না থাকার কারণে গ্রামের ভেতর পর্যন্ত পৌঁছয় না কোন গাড়ি।
এর ফলে চিকিৎসা সহ যাতায়াতের ক্ষেত্রে দীর্ঘদিন ধরেই সমস্যায় এলাকার বাসিন্দারা। অথচ পোড়াঝাড়, ঝাউবাড়ি, ছাতিনতৈড়, কুড়াহা, উত্তরপাড়া, নেত্রডাঙ্গা সহ বেশ কয়েকটি গ্রামের প্রায় কয়েক হাজার মানুষকে এই বাসের সাঁকর উপর দিয়ে প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিনিয়ত যাতায়াত করতে হয়।
এ বিষয়ে কুমারগঞ্জ ব্লকের সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক শ্রীবাস বিশ্বাস জানান, ‘গ্রামবাসীদের লিখিত আবেদন পত্র আমরা পেয়েছি। আমাদের ইঞ্জিনিয়ার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। বিষয়টি আমি জেলা শাসকের নজরে নিয়ে এসেছি। যেহেতু এটি বড় মাপের একটি প্রজেক্ট, তাই কোন একটি দপ্তর থেকে যত দ্রুত সম্ভব প্রজেক্টটি বাস্তবায়িত করে দ্রুত কাজটি শুরু করার বিষয়ে চেষ্টা করা হবে।’
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct