আপনজন ডেস্ক: অস্ট্রেলিয়ার প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট টুর্নামেন্ট শেফিল্ড শিল্ডে গত সপ্তাহের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে কুইন্সল্যান্ডের হয়ে খেলেননি উসমান খাজা। জাতীয় দলের এই ওপেনার না খেলার কারণ হিসেবে জানিয়েছিলেন, হ্যামস্ট্রিং চোট থেকে পুরোপুরি সেরে ওঠেননি।
তবে রাজ্য দলের হয়ে না খেললেও স্ত্রী র্যাচেল ম্যাকলেল্লানকে নিয়ে রেসিং প্রতিযোগিতা ফর্মুলা ওয়ান দেখতে ব্রিসবেন থেকে মেলবোর্নে যান খাজা, যা অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট মহলে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।
কুইন্সল্যান্ড ক্রিকেটের মহাব্যবস্থাপক জো ডস তো সরাসরি দাবি করেছেন, দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ড্র হওয়া ম্যাচটিতে খেলার মতো ফিট ছিলেন খাজা। ডস গতকাল বলেন, ‘আমাদের চিকিৎসা কর্মীরা সব সময় বলে এসেছে, সে (খাজা) খেলার মতো অবস্থায় আছে। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার চিকিৎসা কর্মীদের কাছ থেকেও একই কথা শুনেছি। যত দূর জানি, তার হ্যামস্ট্রিংয়ে কোনো সমস্যা নেই। সুযোগ থাকা সত্ত্বেও তার কুইন্সল্যান্ডের হয়ে না খেলার বিষয়টি হতাশার।’
জো ডসের কথার জবাব দিতে স্থানীয় সময় আজ সকালে সংবাদ সম্মেলন ডেকেছেন খাজা। সেখানে ডসের অভিযোগকে ‘পুরোপুরি অসত্য’ ও ‘১০০% ভুল’ দাবি করেছেন ৩৮ বছর বয়সী এই ওপেনার, ‘আমার না খেলা নিয়ে প্রচুর ভুল তথ্য ছড়ানো হয়েছে। আমি যতটা সম্ভব, বিষয়টিকে দৃশ্যপটের আড়ালে রাখার চেষ্টা করেছি। কিন্তু এখন আর নয়।’ খাজা এরপর বলেন, ‘জো ডস আরেক দিন কিছু জ্বালাময়ী কথাবার্তা বলেছেন, যা একজন খেলোয়াড় হিসেবে আমার কাছে সত্যিই হতাশাজনক ছিল। তিনি বলেছেন, আমার হ্যামস্ট্রিং চোট সম্পর্কে চিকিৎসা কর্মীদের কোনো ধারণা ছিল না। এটা ১০০% ভুল।’ ‘আমি দুই ফিজিওর (অস্ট্রেলিয়া জাতীয় দল ও কুইন্সল্যান্ড দল) সঙ্গেই আমার চোটের ব্যাপারে কথা বলেছি। সবাই এ ব্যাপারে জানত। অস্ট্রেলিয়া দলের ফিজিওর সঙ্গে তো আমার সারাক্ষণই কথা হয়’—যোগ করেন অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ৮০ টেস্ট, ৪০ ওয়ানডে ও ৯ টি–টোয়েন্টি খেলা খাজা। ফিট থাকার পরও খেলেননি—ডসের এ ধরনের অভিযোগ তাঁকে খুব কষ্ট দিয়েছে, ‘এটা সম্ভবত আমার শোনা সবচেয়ে বেদনাদায়ক কথাগুলোর একটি ছিল। আমি সত্যিই হতাশ হয়েছি; কারণ, এটা সম্পূর্ণ অসত্য।’
সম্মান সম্মেলনে খাজা আরও দাবি করেন, বোর্ডের অনুমতি নিয়েই তিনি ফর্মুলা ওয়ান দেখতে গিয়েছিলেন, ‘আমি বাড়িতে বলের ওপর শারীরিক কসরত করি কিংবা ফর্মুলা ওয়ান দেখতে যাই...যেটাই করি না কেন, ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়াকে জানিয়েই করি। আমার বয়স ৩৮ এবং এখনো খেলছি। এটা কোনো কাকতালীয় ঘটনা নয়; কারণ, আমি এখনো আমার শরীরের যত্ন নিই।’ খাজা আরও জানিয়েছেন, ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার চিকিৎসা বিভাগ এবং প্রধান নির্বাচক জর্জ বেইলির প্রণীত পরিকল্পনা অনুযায়ীই তিনি হ্যামস্ট্রিং সমস্যার চিকিৎসা নিচ্ছেন।
দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে গত সপ্তাহের ম্যাচে খাজা না খেললেও শেফিল্ড শিল্ডের ফাইনালে উঠেছে তাঁর দল কুইন্সল্যান্ড। আগামী বুধবার শুরু হতে যাওয়া শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচ এই দুই দলই মুখোমুখি হবে। খাজার আশা, ফাইনালের আগেই তিনি পুরোপুরি সেরে উঠবেন।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct