নিজস্ব প্রতিবেদক, কলকাতা, আপনজন: হাওড়ার বেলগাছিয়া পাইপ লাইন কাজের জন্য ধস নেমেছিল। হাওড়াতে একটা সমস্যা আছে। হাওড়া কর্পোরেশনের প্রশাসককে বলেছি দেখতে। শুক্রবার কলকাতা পৌরসভায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কথা জানান পুরো মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন, বেলগাছিয়াতে ১৫ টি জলের গাড়ি পাঠানো হয়েছে। আমরা নগর উন্নয়ন দফতর থেকে হাওড়া পুর সভা থেকে রিপোর্ট চেয়েছি। হাওড়া পুর সভার বোর্ড রয়েছে। কাজের কোনো সমস্যা হয় না। একটা অভিযোগ এসেছে। বেআইনি বাড়ি নিয়ে রিপোর্ট চেয়েছি। সোমবার দেখে তদন্ত করে দেখা হবে। যদি দেখা যায় যে অভিযোগ ঠিক তাহলে ব্যবস্থা হবে। যদি দেখা যায় যে সঠিক তাহলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এসি’র বিরুদ্ধে। আর যদি ভুল হয়ে তাহলে এসি থেকে ক্ষমা চেয়ে নেব। পুকুর ভরাট হচ্ছে।পুলিশ জানে না এটা হতে পারে না। আগের সিপি বিনীত গোয়াল কে আমি লিখিত জানিয়েছিলাম। যদি ঠিক হয়ে তাহলে ওসি বিরুদ্ধে এফ আর আই করা হবে। জামুড়িয়া নিয়ে তিনি বলেন যে কি করে ৫ লক্ষ্য লক্ষ টাকা নগদ দিতে পারে। তাদের উচিত যে থানা কে অভিযোগ করা। কি করে উত্তর প্রদেশ থেকে একটা লোক ৫ লক্ষ টাকা নিয়ে যায়। ইডি কেন দেখিনি। মাওবাদী কেন হয় মানুষ যখন গরীব হয় বা তাদেরকে ভুল বুজিয়ে তাদের যে জঙ্গি কলাপের যুক্ত করা হচ্ছে। স্থানীয় সমর্থন না থাকলে মাওবাদী তৈরি হতে পারে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কাজ করেছেন বলেই জঙ্গল মহলে মাওবাদী নেই। মানুষেকে বঞ্চনা না করলে কেউ মাওবাদী হবে না। এক্সট্রনিস্ট হবে না। বিভেদকামী রাজনীতি করে লাভ নেই। ও নিজেই জানে কে বাংলা পলিটিক্স এটা চলে না। ৭৭ থেকে নেমে হাফ হয়ে গেছে। পাগল কি না বলে ছাগল কি না খায়। রাষ্ট্রপতি কাছে শাসনের জন্য আবেদন করতে হয়। আইন শৃঙ্খলা সবচে বড় বিষয় পুলিশ সেটা দেখবে। এত আমাদের দলের বিষয়। সেটা দলের মধ্যে আলোচনা হবে। অধীর চৌধুরী নিজে জিততে পারে না হেরে গো হারা আবার তার কথা । অধীর প্রসঙ্গে এভাবেই বলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। প্রসঙ্গত উল্লেখ করা যেতে পারে, হাওড়ায় ধস নেমে পাইপ লাইনে আরও সমস্যা বেড়েছে।প্রায় দেড় দিন হয়ে গেলেও সারানো গেল না হাওড়া পুরসভার আন্ডারগ্রাউন্ড পাইপলাইন। গত পরশু রাতে বেলগাছিয়া ভাগাড়ে দুটি পাইপ লাইনে বড়সড় ফাটল দেখা দেওয়ায় উত্তর হাওড়া এবং শিবপুর বিধানসভার একাংশের বাইশটি ওয়ার্ডে জল সরবরাহ বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। গতকাল হাওড়া পুরসভার এবং কেএমডিএ ইঞ্জিনিয়াররা পাইপলাইন মেরামতির কাজ করলেও ফের বড়সড় ধস নামায় পাইপ লাইনে ফাটল দেখা দেয়। এই মুহূর্তে জল সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। জানা গেছে ইঞ্জিনিয়াররা ফের মেরামতির চেষ্টা চালাচ্ছেন। কতক্ষণে পাইপলাইনের মেরামত শেষ হবে এ ব্যাপারে পৌরসভার পক্ষ থেকে কোন আশ্বাস দেওয়া হয়নি। এদিকে গরমে জল না পেয়ে প্রচন্ড সমস্যায় পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
হাওড়া পুরসভা এবং কলকাতা পুরসভা থেকে জলের ছোট ছোট গাড়ি আনা হয়েছে। তার মাধ্যমে পানীয় জল সরবরাহের চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু প্রয়োজনের তুলনায় কম হওয়ায় জলের হাহাকার দেখা দিয়েছে। কলকাতা পৌরসভা থেকে ১৫টি জলের গাড়ি আনা হলো হাওড়া ব্রিজ দিয়ে। হাওড়া পুরসভার ৩৬ টি গাড়ি সার্ভারে ব্যবহার করা হচ্ছে। বালি পৌরসভা থেকেও জলের গাড়ি আনা হচ্ছে। এদিন হাওড়া পুর কমিশনার সুজয় চক্রবর্ত্তী জানিয়েছেন,”পরিষেবা স্বাভাবিক হতে আরো তিনদিন সময় লাগবে।এখন দেখার কবে পানীয় জল সরবরাহ স্বাভাবিক হয়।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct