সঞ্জীব মল্লিক, বাঁকুড়া, আপনজন: রাজ্য সরকারের প্রায় সাড়ে চার কোটি টাকা ব্যয় করে দেড়শ বছরের পুরনো পৌরসভায় এই প্রথম তৈরি করা হচ্ছে ডাম্পিং গ্রাউন্ড, আবর্জনার অভিশাপ থেকে মুক্তি পেতে চলেছে মন্দির নগরী শহর বিষ্ণুপুর, আবর্জনা থেকে তৈরি হবে জৈব সার, বাড়বে কর্মসংস্থান মনে করছে পৌরসভা ।
সালটা ১৮৭৩ ব্রিটিশ পিরিয়ড তখন তৈরি করা হয় মল্ল রাজাদের একসময়ের রাজধানী মন্দির নগরী বিষ্ণুপুরে একটি পৌরসভা। কিছুদিন আগে ঘটা করে এই পৌরসভার দেড়শ বছর পূর্তি উদযাপন করা হয়। কিন্তু দুঃখের বিষয় দেড়শ বছরের পুরনো পৌরসভা হলেও এই পৌরসভায় ছিল না কোন স্থায়ী ডাম্পিং গ্রাউন্ড।
শহরের যত্রতত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে থাকত আবর্জনা। ছড়াতো দুর্গন্ধ , রোগ জীবাণু ছড়ানোর আশঙ্কা করতো এলাকার মানুষজন। একদিকে প্রাচীন শহর অন্যদিকে হেরিটেজ শহর স্বাভাবিকভাবেই সারা বছরই পর্যটকের আনাগোনা লেগেই থাকে এই শহরে। আবর্জনার ফলে সমস্যায় পড়তো যেমন একদিকে শহরের মানুষ অন্যদিকে পর্যটকেরা। তাই এলাকার মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল বিষ্ণুপুর পৌরসভা এলাকায় একটি ডাম্পিং গ্রাউন্ডের। তবে এলাকার মানুষের ডাকে সাড়া দিয়ে বর্তমান সরকার পৌর ও নগর উন্নয়ন দপ্তরের পক্ষ থেকে প্রায় সাড়ে চার কোটি টাকা ব্যয় করে ৫ একর জায়গা নিয়ে একটি বিশাল আকার ডাম্পিং গ্রাউন্ডের কাজ শুরু করেছে । ডাম্পিং গ্রাউন্ডে প্রাচীরের কাজ শেষ হয়ে প্রসেসিং ইউনিট বসতে শুরু করেছে। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে কাজ। দুর্গাপুজোর আগেই এই ডাম্পিং রাউন্ড উদ্বোধন করার কথা ভাবছে পৌরসভা। তাই ডাম্পিং গ্রাউন্ডের কাজ কতটা বাস্তবায়ন হলো তা সরজমিনে তদন্ত করে দেখলেন বিষ্ণুপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান গৌতম গোস্বামী।
বিষ্ণুপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান গৌতম গোস্বামীর দাবি এই ডাম্পিং গ্রাউন্ড টি সম্পূর্ণ হলে এলাকার বেশ কিছু মানুষ কর্মসংস্থান পাবে। এই ডাম্পিং গ্রাউন্ডের শহরের ১৯ টি ওয়ার্ডের আবর্জনা এসে জমা হবে সেই আবর্জনা থেকে তৈরি করা হবে জৈব সার। যে স্যার স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা এবং স্থানীয় কিছু গরীব মানুষ নিয়ে ব্যবসা করতে পারবে কৃষকদের কাছে।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct