জিয়াউল হক, চুঁচুড়া, আপনজন: জেলার মধ্যে সর্বপ্রথম চুঁচুড়া ইমামবাড়া সদর হাসপাতালে বসলো লিকুইড অক্সিজেনের ১৩০০ লিটারের ট্যাংক।
লিকুইড অক্সিজেন (তরল অক্সিজেন) ট্যাংক স্থাপনের মাধ্যমে সদর হাসপাতাল ও রোগীদের জন্য প্রভূত উপকার হবে। সর্বপ্রথম অবিচ্ছিন্ন অক্সিজেন সরবরাহ করতে সুবিধা হবে
একটি হাসপাতালে ১৩০০ লিটারের লিকুইড অক্সিজেন ট্যাংক হাসপাতালকে দীর্ঘ সময় ধরে অক্সিজেন সরবরাহ করতে সক্ষম হবে।
বিদ্যুৎ বিভ্রাট বা অক্সিজেন সিলিন্ডারের ঘাটতির সময়ও অক্সিজেন সরবরাহ অব্যাহত থাকবে।লিকুইড অক্সিজেন ট্যাংকে বড় পরিমাণ অক্সিজেন কম জায়গায় সংরক্ষণ করা যায়, যা প্রচলিত সিলিন্ডারের তুলনায় বেশি কার্যকর। সাধারণত অক্সিজেন সিলিন্ডার পরিবহন ও পরিবর্তনের প্রয়োজন কমে যাওয়ায় খরচ সাশ্রয় হবে।বারবার অক্সিজেন ভরার ঝামেলাও কমে যাবে , এতে হাসপাতালে সর্বক্ষণ সুরক্ষিতভাবে অক্সিজেন সরবরাহ হবে এবং রোগীদের নিরাপদে রাখা যাবে
এছাড়াও বারবার সিলিন্ডারের পরিবর্তে কেন্দ্রীয় সরবরাহ ব্যবস্থায় দুর্ঘটনার ঝুঁকি অনেকটাই কমে যাবে। স্বয়ংক্রিয় নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার মাধ্যমে অক্সিজেন সরবরাহ নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হয়ে উঠবে।
এছাড়াও রোগীদের জন্য
ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট (ICU), জরুরি বিভাগ এবং অক্সিজেন থেরাপির রোগীদের জন্য অবিচ্ছিন্ন অক্সিজেন সরবরাহ নিশ্চিত করা যাবে বলেই জানা যাচ্ছে।
শ্বাসকষ্টজনিত রোগে ভুগছেন এমন রোগীদের তাত্ক্ষণিক অক্সিজেন সরবরাহ করা যাবে
COVID-19, COPD, নিউমোনিয়া, অ্যাজমা প্রভৃতি রোগে আক্রান্ত রোগীরা আরো উন্নতমানের চিকিৎসা পাবার আশা রাখতে পারবেন, জরুরি অবস্থা বা মহামারির সময় অতিরিক্ত অক্সিজেনের চাহিদা সহজেই পূরণে সক্ষম হয়ে উঠবে।
এছাড়াও দ্রুত অক্সিজেন সরবরাহের জন্য আলাদা পাইপলাইন সিস্টেম ব্যবহার করা হওয়ার কারনে রোগীদের ঝুঁকি অনেক কমে যাবে।
এর সাথে সাথে তরল অবস্থায় সংরক্ষণ করায় অক্সিজেনের বিশুদ্ধতা বজায় থাকে, যা রোগীদের জন্য নিরাপদ ও কার্যকর।
সবমিলিয়ে চুঁচুড়া ইমামবাড়া সদর হাসপাতালে ১৩০০ লিটারের লিকুইড অক্সিজেন ট্যাংক স্থাপনের মাধ্যমে হাসপাতালের চিকিৎসা পরিষেবা আরও আধুনিক ও কার্যকর হয়েছে। রোগীরা দ্রুত, নিরাপদ ও অবিচ্ছিন্ন অক্সিজেন সরবরাহ পাবে, যা রোগ নিরাময়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct