আপনজন ডেস্ক: ফ্র্যাঞ্চাইজি টি–টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে ৩০০ রান!
এখন পর্যন্ত দেখা যায়নি। তবে ২০২৫ আইপিএলেই দেখা যেতে পারে বলে ধারণা শুবমান গিলের। একই ধারণা এবি ডি ভিলিয়ার্সেরও। এই ধারণা কিন্তু হাওয়া থেকে পাওয়াও নয়। সর্বশেষ আইপিএলের চিত্র আর আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টির তুলনায় আইপিএলে ব্যাটসম্যান–বান্ধব নানা নিয়মের কারণেই দলগত ৩০০ রান হওয়ার সম্ভাবনা আছে যথেষ্টই।
এখন পর্যন্ত আইপিএল হয়েছে ১৭ বার। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ১০ ইনিংসের ৯টিই ২০২৪ আসরের। গত বছর আইপিএলে আড়াই শ রানের ঘর ছোঁয়া ইনিংস দেখা গেছে ৯টি। ২৪০–এর বেশি রানের ইনিংস ছিল আরও তিনটি। এমনকি একটি ম্যাচে কলকাতা নাইট রাইডার্সের দেওয়া ২৬২ রানের লক্ষ্য ৮ বল বাকি রেখে ছুঁয়ে ফেলেছিল পাঞ্জাব কিংস।
গুজরাট টাইটানস অধিনায়ক গিল মনে করেন, আইপিএলে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ারের নিয়ম থাকায় প্রতিটি দলই একজন বাড়তি ব্যাটসম্যান বা বোলার ব্যবহার করতে পারায় বিশেষ সুবিধা পাচ্ছে। যা দলগুলোর ইনিংস বড় করার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখছে।
জিও হটস্টারকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ভারতের ওয়ানডে দলের সহ–অধিনায়ক এ বিষয়ে বলেন, ‘আইপিএলের খেলার গতি এমন এক পর্যায়ে চলে গেছে, মনে হয় আমরা ম্যাচে ৩০০ রান দেখতেই পারি। গত বছর তো কয়েকবারই কাছাকাছি চলে গিয়েছিল। ইমপ্যাক্ট প্লেয়ারের নিয়ম আইপিএলে বাড়তি রোমাঞ্চ যোগ করেছে, যা বিনোদনের মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছে।’
এই মুহূর্তে আইপিএলে সর্বোচ্চ রান ২৮৭, যা গত বছর রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ তুলেছিল। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অবশ্য ৩০০ রানের দুটি ইনিংস আছে। একটি ২০২৩ এশিয়ান গেমসে, মঙ্গোলিয়ার বিপক্ষে নেপালের ৩১৪/৩। আরেকটি ২০২৪ সালে গাম্বিয়ার বিপক্ষে জিম্বাবুয়ের ৩৪৪/৪।
অবশ্য ভারতেও টি–টোয়েন্টি ম্যাচে ৩০০ রানের দৃষ্টান্ত আছে। যেটা নতুনই। ২০২৪ সালের ৫ ডিসেম্বর সৈয়দ মুশতাক আলী ট্রফির ম্যাচে সিকিমের বিপক্ষে ৫ উইকেটে ৩৪৯ রান করেছিল বরোদা। যা স্বীকৃত টি–টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ দলীয় রানের বিশ্বরেকর্ড।
দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক অধিনায়ক ডি ভিলিয়ার্স মনে করেন, এবারের আইপিএলেই ৩০০ রান হওয়া খুবই সম্ভব।
জিও হটস্টারের সঙ্গে আলাপে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার নিয়মের বাইরে আরও কিছু কারণ তুলে ধরেছেন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুতে আইপিএল ক্যারিয়ারের সেরা সময় কাটানো এই তারকা ব্যাটসম্যান।
ডি ভিলিয়ার্স বলেছেন, ‘ইমপ্যাক্ট প্লেয়ারের নিয়ম বড় ধরনের পরিবর্তন এনে দিয়েছে। আমরা কয়েকজন খেলোয়াড়ের মুখেই শুনেছি যে, এর কারণে প্রথম তিন ব্যাটসম্যান আরও বেশি ঝুঁকি নিয়ে খেলতে পারেন। এক দিক থেকে দেখলে এটা কিছুটা অন্যায্য। আমি এটা নিয়ে কিছুটা সমালোচনাও করেছি। বৃত্তের বাইরে মাত্র দুজন ফিল্ডার, টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানের স্বাধীনতা বোলারদের কাজটা কঠিন করে দিয়েছে। তবে ব্যাটসম্যানদের জন্য ব্যাপারটা বেশ চমৎকার। আমরা এবারের আইপিএলেই ৩০০ রানের ঘরে ঢুকে যেতে পারি।’ আগামী শনিবার ইডেন গার্ডেনে কলকাতা–বেঙ্গালুরু ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে এবারের আইপিএল।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct