আপনজন ডেস্ক: ২০০৮ সালে বিরাট কোহলির নেতৃত্বে অনূর্ধ্ব–১৯ বিশ্বকাপ জেতে ভারত। সেই দলের অপরিহার্য অংশ ছিলেন তন্ময় শ্রীবাস্তব। টুর্নামেন্টে ৫২.৪০ গড়ে ২৬২ রান করে হয়েছিলেন ভারতের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। ফাইনালে তাঁর ৪৬ রানের ইনিংসটা ছিল ম্যাচেরই ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ।
সেই তন্ময় আইপিএলের প্রথম দুই মৌসুম (২০০৮ ও ২০০৯) পাঞ্জাব কিংসের হয়ে খেলেন সাত ম্যাচ। আইপিএলের বিলুপ্ত দুই ফ্র্যাঞ্চাইজি কোচি টাস্কার্স কেরালা (২০১১ মৌসুম) ও ডেকান চার্জার্সের (২০১২ মৌসুম) স্কোয়াডেও ছিলেন।
১৩ বছর পর তন্ময়কে আবারও আইপিএলে দেখা যাবে। তবে ভিন্ন ভূমিকায়। কোহলির একসময়ের সতীর্থ তন্ময় যে এখন আম্পায়ার! সব ঠিক থাকলে ৩৫ বছর বয়সী তন্ময়ই হতে চলেছেন প্রথম ব্যক্তি, যাঁকে আইপিএলে খেলোয়াড়–আম্পায়ার উভয় ভূমিকায় দেখা যাবে।
ভারত যুব দলের হয়ে বিশ্বকাপ জিতলেও জাতীয় দলের হয়ে কখনো খেলার সুযোগ হয়নি তন্ময়ের। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ৯০ ম্যাচে করেছেন ৪৯১৮ রান। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে ৪৪ ম্যাচে ১৭২৮ আর টি–টোয়েন্টিতে ৩৪ ম্যাচে ৬৪৯ রান।
শীর্ষ পর্যায়ে কোহলিদের সঙ্গে দেশের জার্সি জড়ানোর সম্ভাবনা কার্যত নেই ধরে নিয়েই ২০২০ সালে মাত্র ৩০ বছর বয়সে খেলোয়াড়ি জীবনকে বিদায় বলে দেন। সাবেক এই টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান ক্যারিয়ারের বেশির ভাগ ম্যাচ খেলেছেন উত্তর প্রদেশের হয়ে।
খেলা ছাড়ার পর কোহলিরই আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর স্কাউট দলের হয়ে কাজ করেছেন। পরবর্তী সময়ে জাতীয় ক্রিকেট একাডেমির (এনসিএ) অনূর্ধ্ব–১৬ দলের কোচ এবং জম্মু–কাশ্মীরের ফিল্ডিং কোচের দায়িত্ব পালন করেন। এর পাশাপাশি আম্পায়ারিংও শুরু করেন। এখন পর্যন্ত দুটি প্রথম শ্রেণির ও সাতটি লিস্ট ‘এ’ ম্যাচ পরিচালনা করেছেন তন্ময়।
আগামী শনিবার শুরু হতে যাওয়া আইপিএলের ১৮তম আসরে আম্পায়ারের দায়িত্ব পাওয়ায় তন্ময়কে শুভকামনা জানিয়েছে উত্তর প্রদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন (ইউপিসিএ)। সংস্থাটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তন্ময়ের পরিচয়পত্রের ছবি পোস্ট করে লিখেছে, ‘একজন সত্যিকারের খেলোয়াড় কখনো মাঠ ছেড়ে যায় না—শুধু খেলায় ভূমিকা বদলায়। খেলার প্রতি সেই একই আসক্তি নিয়ে নতুন দায়িত্ব নিতে চলায় তন্ময় শ্রীবাস্তবকে শুভকামনা। তুমি উত্তর প্রদেশকে আবারও গর্বিত করেছ।’
ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) আম্পায়ার হতে দুই বছরে দুই দফা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হয়েছে তন্ময়কে। এ ব্যাপারে সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেছেন, ‘আম্পায়ারিং নিয়ে পড়াশোনা করাটা বেশ চাপের। এ জন্য আমাকে অনেক রাত জাগতে হয়েছে। ক্রিকেটের আইন কোথায়, কীভাবে কাজে লাগাতে হয়, তা সঠিকভাবে জানতে প্রচুর পড়াশোনা করতে হয়েছে।’
তন্ময় আরও জানিয়েছেন, কোহলির সঙ্গে এখনো তাঁর নিয়মিত যোগাযোগ হয়।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct