আপনজন ডেস্ক: ছয় দশকের বেশি সময় ধরে চলা অপেক্ষার অবসান। আজ মঙ্গলবারই (১৮ মার্চ) জনসমক্ষে আসছে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডির ‘রহস্যময়’ হত্যাকাণ্ড নিয়ে ৮০ হাজার পাতার গোপন নথি। ওই নথিতে কী-কী অজানা তথ্য প্রকাশ্যে আসবে তা নিয়ে শুরু হয়েছে কৌতুহল।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট থাকাকালীনই ১৯৬৩ সালের ২২ নভেম্বর টেক্সাসের ডালাসে আততায়ীর গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে গিয়েছিলেন জন এফ কেনেডি। তার মর্মান্তিক মৃত্যু গোটা বিশ্বকে নাড়িয়ে দিয়েছিল। জন এফ কেনেডি মারা যাওয়ার ৫ বছর বাদে ১৯৬৮ সালে ক্যালিফোর্নিয়ায় গুপ্তহত্যার শিকার হয়েছিলেন তাঁর ভাই তথা মার্কিন সেনেটর রবার্ট এফ কেনেডি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন তিনি। ওই বছরই টেনেসি অঙ্গরাজ্যের মেমফিসে আততায়ীর হাতে প্রাণ হারান মার্কিন নাগরিক আন্দোলনের অন্যতম মুখ মার্টিন লুথার কিং জুনিয়র।
ওই তিন নেতার হত্যাকাণ্ড নিয়ে তদন্ত রিপোর্ট এতদিন জনসমক্ষে আসেনি। দশকের পর দশক জন এফ কেনেডির হত্যাকাণ্ডকে ঘিরে অনেক ষড়যন্ত্র তত্ত্ব তৈরি হয়েছে। বিভিন্ন জনমত সমীক্ষায় ওই হত্যাকাণ্ডের ব্যাখ্যা সম্পর্কে নানা সন্দেহ প্রকাশ করা হয়েছে। ২০২৩ সালে গ্যালাপের এক সমীক্ষায় ৬৫ শতাংশ মার্কিন নাগরিক বলেছিলেন, লি হার্ভে অসওয়াল্ড একাই জন এফ কেনেডিকে হত্যা করেছিলেন বলে ওয়ারেন কমিশন যে রিপোর্ট জমা দিয়েছিল, তা তারা বিশ্বাস করেন না।
কোনও মার্কিন প্রেসিডেন্টই দেশের তিন জনপ্রিয় নেতার গুপ্তহত্যার নথি প্রকাশ্যে আনার ক্ষেত্রে কোনও উৎসাহ দেখাননি। তবে দ্বিতীয়বার প্রেসিডেন্ট পদে বসেই কেনেডি ভ্রাতৃদ্বয় এবং মাটিন লুথার কিং জুনিয়রের হত্যাকাণ্ড নিয়ে গোপন রিপোর্ট প্রকাশ্যে নিয়ে আসার কথা ঘোষণা করেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct