বিশ্ব ইতিহাসে ধর্মীয় সংখ্যালঘু নিধনের এক নম্বর পান্ডা যদি হয় হিটলারের নাৎসী বাহিনী, তাহলে দুই নম্বর পান্ডা হল ২০০২ সালের গুজরাত মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পুলিশ, এবং সংঘ পরিবারের বিজেপি- বিশ্ব হিন্দু পরিষদ - বজরং দল এবং দুর্গাবাহিনী। লিখেছেন ড. শামসুল আলম।
বিশ্ব ইতিহাসে ধর্মীয় সংখ্যালঘু নিধনের এক নম্বর পান্ডা যদি হয় হিটলারের নাৎসী বাহিনী, তাহলে দুই নম্বর পান্ডা হল ২০০২ সালের গুজরাত মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পুলিশ, এবং সংঘ পরিবারের বিজেপি- বিশ্ব হিন্দু পরিষদ - বজরং দল এবং দূর্গাবাহিনী। হিটলারের সাথে মোদির তফাত হল : ১. হিটলার খোলাখুলি ঘোষণা দিয়ে ৬০ লাখ ইহুদীকে গ্যাস চেবারে পুড়িয়ে মেরেছিল, কিন্তু মোদি হাজার হাজার মুসলিম নিধন করতে জলজ্যান্ত ন্যক্কারজনক মিথ্যাচারিতা করে বলেছে গোধরায় ৫৯ জন করসেবকদের ট্টেনে মুসলিমরা পুড়িয়ে মেরেছিল বলেই এই দাঙ্গা তারই বহি: প্রকাশ। ২. নগ্ন ফ্যাসিস্টরা ধূর্ত হয় না, যেমন হিটলার, কিন্তু ধূর্ত ফ্যাসিস্টরা ভয়ঙ্কর মিথ্যাবাদী হয়, যেমন মোদিজি যিনি হিটলারের গোয়েবলস নামক বিশ্ব মিথ্যাবাদীকেও হার মানায়। আজকে নানা সংবাদপত্রে মোদির এক সাক্ষাতকার বেরিয়েছে, যেখানে মোদি সর্বশেষ চরম মিথ্যাচার করে দাঙ্গার সাফাই গাইলেন এই বলে যে গোধরা না ঘটলে গুজরাত দাঙ্গা হতো না এবং এই দাঙ্গা ছিল ভয়ঙ্কর প্রতিশোধগ্রহণের দাঙ্গা।
এবার ফিরে দেখা যাক ২৩ বছর আগের গোধরার ঘটনার এক ঝলক। গুজরাত থেকে ৭৫০ জঙ্গী করসেবকে নিয়ে অযোধ্যা রামমন্দির গড়ার জন্য বিশ্বহিন্দু পরিষদ একটা মহাযজ্ঞের আয়োজন করে সেখানে। তারা ফিরছিল সবরমতী এক্সপ্রেসে নিজেদের রাজ্যে ২৫-২৭ ফেব্রুয়ারী, ২০০২। ট্রেন গোধরা স্টেশনে তিন ঘন্টা আটকে থাকে সিগনালের কারণে। যখন ট্রেনটি সকাল ৭ টায় গোধরা পার হচ্ছে এমন সময় বারংবার চেন টানা হয় কারণ ইতিমধ্যে সবরমতির এস -৬ কোচের ভেতর আগুন লাগে এবং এই কারণেই চেন টানা হয়। ঘটনায় জানা যায়, অন্য কোন কোচের ভেতর যেখানেও অনেক করসেবক ছিল সেখানে কোন আগুন লাগেনি। জানা গেছে ৫৯ জন করসেবক এস ৬ য়ে পুড়ে মারা গেছে এবং কয়েক ডজন আহত হয়েছে। এই ঘটনার আগেই একটা খবর ফাস হয় যে, গুজরাতে দাঙ্গার প্রস্তুতি আগে থেকে পরিকল্পিতভাবে নেওয়া হয়েছিল। তাহলে প্রশ্ন : কেন গোধরার মুসলমানদের ভিলেন বানানো হল। কারণ একটা প্রবাদ আছে, কুকুরকে ফাসী দেবার আগে তাকে একটা বদনাম দাও। এটা ঠিক তেমনি।
দেশ বিদেশের নানা রিপোর্ট এবং লেখনি স্পষ্টভাবে জানিয়েছে, গোধরায় করসেবকদের মৃত্যু হয়েছিল গ্যাস সিলিন্ডার ফেটে গিয়ে। এটা প্রাথমিক সাধারণ জ্ঞানে ঠিক মনে হবে। সংঘ পরিবার এবং জঙ্গীরা তোতা পাখির বুলির মতো এটা আওড়েছে যে গোদরার মুসলমানেরা ( অন্তত ২০০) পরিকল্পিতভাবে পেট্রলের টিন এনে কোচে ঢেলে দিলে আগুণ লেগে ঐ মৃত্যু সংগঠিত হয়। তদন্ত কমিশনের রিপোর্টে যাবার আগে এখানে তিনটি অকাট্য যুক্তির অবতারণা করছি : ১, গোধরার মুখে তিন ঘন্টা আটকে থাকাকালীন সময় তথাকথিত উচ্ছৃঙ্খল জনতা একাধিক কোচে আগুন লাগিয়ে ৫০০-৭০০ করসেবককে পুড়িয়ে মারতে পারতো। কিন্তু ট্রেন ছাড়ার সময় এমন ঝুকি কেউ নিতে পারে? ২. সিলিন্ডার ফেটেছিল এটা পরবর্তীকালে প্রমানিত হয়েছে। তা যদি বেআইনী হয়, তাহলে ট্টেনে সিলিন্ডার ব্যবহার করে রান্না খাওয়া সারছিল গোটা রাস্তায় কিভাবে? যার মানে দাড়ায় রাহাজানি; ৩, সিলিন্ডার ফেটেছে বলে নিহত ও আহতদের নিম্নাঙ্গ পুড়েছিল। বাইরে থেকে পেট্রল ছুড়লে দেহের উপরিভাগ পোড়ার কথা। সেটা হয়নি মানে বাইরে থেকে আগুন লাগানো হয়নি।
রেলদপ্তর থেকে সবরমতী এক্সপ্রেসের দূঘটনার তদন্ত করেন বিচারপতি উমেশ চন্দ্র ব্যানার্জী কমিশন। ব্যানার্জী কমিশন তথ্যপ্রমাণ জোগাড় করে এই সিদ্ধান্তে আসে যে, ট্রেনে যে ভয়াবহ দূর্ঘটনা ঘটেছে তা নিছক দূর্থনা। কোন ষড়যন্ত্র বা দাঙ্গা বা বাইরে থেকে পেট্রল ছুড়ে মানুষ মারা - এর কোনটাই সত্যি নয়। মৃত্যু ঘটেছে রান্নার সিলিন্ডার ফেটে।
এরপর সিটিজেন ফোরাম দ্বিধাহীনচিত্তে বলে, সবরমতি এক্সপ্রেসের দূর্ঘনায় কোন মুসলমান যুক্ত নয়। এটা নিছক করসেবকদের নিজেদের সিলিন্ডার ফেটে এই দূর্ঘটনা। বিশ্ববিখ্যাত লেখক আইবস্লি টমাস এমব্রি তথ্য হাজির করে প্রমাণ করেন, এর সাথে পাকিস্তান যোগ ভিত্তিহীন, এর সাথে গোদরার নিরীহ মুসলমানদের যোগও ভিত্তিহীন।
উল্টোদিকে মোদির পরামর্শ মেনে শাহ এবং নানাবতী কমিশন গঠন করে। তিন মাসের জায়গায় ৭ বছর সময় নিয়ে বলে গোদরার জন্ই এই দাঙ্গা এবং এটা পাকিস্তানী শাসক ও গোধরার মুালমানদের অশুভ ষড়যন্ত্র। তদকালীন মুখ্যমন্ত্রী বললেন, প্রতিটি ক্রিয়ার থাকে প্রতিক্রিয়া। তিনি সময় নষ্ট না করে গোদরায় গিয়ে মৃত করসেবকদের আহমেদাবাদে নিয়ে আসতে নির্দেশ দিলেন। ফলে গোদের উপর এলো বিষফোঁড়া। দাঙ্গাবাজ গেরুয়া জঙ্গীরা ঝাপিয়ে পড়লো পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী। ২৮ ফেব্রুয়ারি ভি এইচ পির প্রবীন তোগাড়িয়া আহমেদাবাদসহ গুজরাট বনধ্ ডাকলো। জারি হল কার্ফু। পুলিশ থানা ও চৌকি থেকে সরে গিয়ে দাঙ্গাবাজদের পাশে দাড়ালো। একাধিক মন্ত্রী, বিধায়ক, বজরং দল, দূর্গা বাহিনী আগে থেকে তৈরি ছিল। তালিকা ধরে ধরে শুরু হল ৭- ৭০ বয়স্ক মুসলমান মেয়েদের গনধর্ষণ এবং ধর্ষণের পর আগুণে তাদের পুড়িয়ে মারা হতে লাগলো। ধর্ষিতা ও নিহত মায়ের গর্ভ কেটে ভ্রুণ বার করে এনে বজরঙ্গীরা ত্রিশূল নিয়ে সেই ভ্রুণকে ছুড়ে দিল আগুনের ভেতর। উল্লাস নৃত্য শুরু এরপর কয়েকশত বাড়ি এবং ফ্লাটে আগুন ধরিয়ে পুরুষদের পুড়িয়ে মারার অভিযান চললো এবং লাগাতার খুনের উল্লাসধ্বনি ও জয়শ্রীরাম জিগির। গুলবার্গে প্রাক্তন সাংসদ এহসান জাফরীসহ ৯০জনকে পুড়িয়ে মারা হয়। বেস্ট বেকারীর ঘটনায় এক বৃহৎ যৌথ পরিবারের ১৪ জনকে খুন করা হয় যার মধ্যে তিনজনকে গণধর্ষণের পর খুন করা হয়। বেচে থাকে গণধর্ষিতা বিলকিস বানু যাকে দাঙ্গাবাজরা মৃত বলে ফেলে রাখে। বিলকিসের গর্ভের মেয়েটা বাচে, কিন্তু তার তিন বছরের মেয়েকে চোখের সামনে পাথরে আছড়ে মেরে ফেলা হয়। পরবর্তী ঘটনাক্রম সবারই জানা যে মোদি সরকারের পরামর্শে ১১ জন খুনি ও ধর্ষকদের ২০২২ সালের ১৫ আগস্ট জেল থেকে মুক্তি দিয়ে তাদের বীরের সম্বর্ধনা দেওয়া হয় ফুলমালা দিয়ে। এর আগে ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০০২য়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রী মায়া কোড়নানী নিজে হাতে পেট্রল বিলিয়ে দিলেন দাঙ্গাবাজ বজরঙ্গ দল ও দূর্গাবাহিনীর হাতে হাতে। মুখ্যমন্ত্রী কি বললেন এরপর? তিনি বললেন,” আমরা পরিবারে ৫, আর মুসলমানদের পরিবারে ২৫। তাই পুলিশ কাউকে বাধা দিও না। “ ২৭ ফেব্রয়ারীতেই মোদিজির বাসভবনে গোপন বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় যে পুলিশ দাঙ্গা থামাবে না এবং প্রতিশোধ চালিয়ে যাবার জন্য নির্দেশ জারি করা হয়। এই গোপন বৈঠককে ফাস করেন তিনজন - স্বরাষ্ট্র কেবিনেট মন্ত্রী হারিন পান্ডা, আই পি এস ভাট এবং শ্রীকুমার। ঠান্ডা মাথায় হারিন পান্ডাকে খুন করে গুম Bday হয়। ভাটকে অন্যায়ভাবে চাকরি থেকে ছাড়িয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। শুধু মোদির রহস্য ফাস করার জন্য তো বটেই। ভাট একজন মহান দায়িত্বশীল পুলিশ অভিসারের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন। তিনি নির্ভীক সাহসী যোদ্ধা হিসাবে সুপ্রিম কোর্টে গিয়ে গুজরাত দাঙ্গার জন্য মোদির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে রিট পিটিশন করেন। কিন্তু মহামান্য আদালত সিট গঠন করে একটি কলঙ্কিত রায় দিয়ে বলে, মোদি নির্দোষ এবং মোদি বিরোধীরা সকলে দোষী ও ষড়যন্ত্রী। এই,কলঙ্কের সর্বেশেষ দৃষ্টান্ত হল রঞ্জন গগৈ যখন ঘোষণা দিলেন যে বাবরি মসজিদের ধ্বংসস্তূপের ওপরে রামমন্দির হবে। এই দুটি কলঙ্কের পাশাপাশি সেরা মিথ্যাচারী মোদিজি পরে কি বললেন? তার কুখ্যাত উক্তি : “ দাঙ্গায় মরেছে তো কি। আমার চলন্ত গাড়ির সামনে একটা কুকুর ছানা এসে দাড়ালে তো সে ছানা মরবেই। “
যদি মোদিজী এবং ষংঘ পরিবারের নৃশংসতম ন্যাক্কারজনক মিথ্যাবাদীতা না থাকে তাহলে প্রশ্ন ১. কেন হারিন পান্ডুিয়াকে খুন করা হল? ২. কেন পুলিশ অফিয়ার ভাটকে তাড়িয়ে দেওয়া হল, জেলে পাঠানো হল? অথচ গীতা জোহরী নামক পুলিশ অফিসারকে বিশাল প্রমোশন দেওয়া হল এই কারণে কি যে তিনি গোদরার ৬৮ জন মুসলিমদের বিরুদ্ধে চার্জশীট দিয়ে ফাসী ও যাবজ্জীবন কারাদন্ডের সুপারিশ করেছিলেন? ৩. তিস্তা শীতলাবাদের জলজ্যান্ত তথ্য প্রমাণ থাকা সত্বেও তাকে অসংখ্যবার নির্যাতন করা হল কেন? ৪. জাকিয়া জাফ্রির হাতে প্রমাণ ছিল যে গুলবার্গ সোসাইটিতে কারা তার স্বামীসহ ৯০ জনকে পুড়িয়ে মেরেছিল এবং টেলিফোনিক কলের রেকর্ড নিয়ে তিনি ছুটে গিয়েছিলেন তিস্তাকে সাথে নিয়ে তখন সীট কেন নিরপেক্ষ তদন্ত করে নি? উপরন্ত, তার স্বামী ভূতপূর্ব সাংসদ এহসান মূত্যুর মুখে এক ডজনবার মোদিকো ফোন করেও মোদি ফোন ধরে নি কেন? কেন তিস্তা ও জাকিয়াকেনবারংবার হেনস্থা করা হয় অপ্রিয় সত্য কথা বলার জন্য কি? ৫. কেন মোদি ২০২৩ সালে। বিবিসি ডকুমেন্টারি - মোদি প্রশ্ন” কে নিষিদ্ধ ঘোষণা করলেন এবং মুম্বাই ও দিল্লি বিবিসি অফিসে। আয়কর দপ্তরকে দিয়ে অভিযান চালাতে নির্দেশ দিলেন? কেন মোদিজীদের সাহস হল না বিবিসির ভেজালবিহীন তথ্যকে চ্যালেঞ্জ করতে যেখানে মোদিকে গুজরাট দাঙ্গার আসল লোক বলে চিহ্ণিত?। অথচ কিসের ভয়ে তার দিল্লি সরকার হামলা করলো হায়দ্রাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়, জে এন ইউ এবং জামিয়া মিলিয়াতে? ৬. কেন সারা গুজরাতে মোদির গদিতে বসা থেকে শুরু করে অদ্যাবধি সর্বত্র কেন বিশাল সাইনবোর্ড “ গুকরাট নামক হিন্দু রাষ্ট্রে আপনি স্বাগত?” ৭. গোদরা মামলায় যাকে এক নম্বর চক্রী ও পালের গোদা বলে প্রচারিত সেই মৌলভী হোসেন ওমরজীসহ আরো ৬৩ জন প্রমাণের অভাবে খালাস পায়? ৮. যে ১১ জনকে মিথ্যাচার করে ফাসীর আসামী বানানো হয় তাদের সকলকে অমানুষিক অত্যাচার করেছিল মোদির ডেপুটি এস পি নোয়েল পার্মার। তাকে মোদি কেন তার অবসরেরর পর চারবার চাকরির মেয়াদ বাড়িয়ে দেয়? রহস্যের জাল কি তা সকলেই জানে। দুয়ে দুয়ে চার হয়। ৯. কেন আমেরিকা ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন মোদির ভিসা বাতিল করেছিল? খামখেয়ালী।। কূটনীতি? নাকি মোদিজী নির্মিত কুখ্যাত দাঙ্গার পরিচালক বলে? ১০. আর এস এসের গোটা দাঙ্গা পরিকল্পনার পালের গোদা হয়েছিল মোদিজি বলেই কি দাঙ্গা স্তিমিত হবার একমাস পর অটল বিহারী বাজপেয়ী মোদিকে পরামর্শ দিলেন রাজধর্ম পালন করতে? তারপর গোয়ার দলীয় অধিবেশনে কেন আদবানী মোদিকে শ্রেষ্ঠ শাসকের তকমা দিলেন? ১১.ইতিহাসের বীভৎসতম গুজরাত দাঙ্গার জন্যই গুজরাত ভারতের হিন্দুত্ব ল্যাবরেটরির স্তরে উন্নীত হয় এবং এরই ফলশ্রুতিতে ২০১৪ সালে মোদির অভিষেক হল প্রধানমন্ত্রী পদমর্যাদায় নয় কি?
ঊপসংহারে, ২০১৪ পরবর্তীতে ভারতবর্য দ্রুতগতিতে ফ্যাসিস্ট রাজতন্ত্রী সাম্প্রদায়িক হিন্দুত্ববাদী রাষ্ট্র হবার পথে ধাবিত হয়েছে যার শেকড় নিহিত আছে কিন্তু মুসলিম নিধন এবং মুসলিম প্রজন্মকে মুছে ফেলার লক্ষ্যপথে চালিত গোদরার ১০০ শতাংশ মিথ্যাচার এবং গুজরাতে রাষ্ট্রচালিত হিংস্রতম তান্ডবের ভেতর যার ক্যাপ্টেন হলেন স্বয়ং নরেন্দ্র মোদি। আগামী দিনে নতুন ইতিহাস রচিত হবে গোদরার দূর্ঘটনা ও গুজরাত দাঙ্গার একটি সত্যিকার বিশ্বমানের বিচারবিভাগীয় তদন্ত যাকে মনিটারিং করবে আন্তর্জাতিক ন্যায় আদালত ( আই সি জে)। কেন আন্তর্জাতিক আদালত, কারণ সর্বোচ্চ মহামান্য আদালত পক্ষপাতদোষে আবিষ্ট। দাঙ্গাবাহিনী এবং তাদের মনিব সংঘ পরিবার ও তার পালের গোদাকে কাঠগড়ায় দাড় না করা পর্যন্ত ভারতে সেকুলার মানবিক রাষ্ট্র গড়ে উঠবে না।
**মতামত লেখকের নিজস্ব
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct