সারিউল ইসলাম, মুর্শিদাবাদ, আপনজন: লোকসভার জিরো আওয়ারে মুর্শিদাবাদের আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের বকেয়া অর্থ ছাড়ার আবেদন করলেন সাংসদ খলিলুর রহমান। অন্যদিকে জেলার আরেক সাংসদ আবু তাহের খান তুললেন সীমান্তের রাস্তার বেহাল দশার প্রসঙ্গ।
বেশ কয়েক বছর আগে মুর্শিদাবাদের আহিরনে তৈরি হয়েছিল আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়। কিন্তু সেখানে মাত্র তিনটি কোর্সের সুবিধা রয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার পর্যাপ্ত পরিমাণ অর্থ না দেওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মানোন্নয়ন করা বা অন্যান্য কোর্সের সুবিধা শুরু করা সম্ভব হচ্ছে না। কোড-আনকোড এই কথাই লোকসভার জিরো আওয়ারে তুলে ধরলেন জঙ্গিপুরের সাংসদ খলিলুর রহমান।
বুধবার সংসদ অধিবেশনে জিরো আওয়ারের ভাষণে তিনি বলেন, “কেন্দ্রের তরফ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ১০৭.৮০ কোটি টাকা মঞ্জুর করা হলেও এখন পর্যন্ত মাত্র ৬০ কোটি টাকা ছাড়া হয়েছে, ফলে এখনও ৪৭.৮০ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে। এই অর্থ না পাওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন প্রকল্পগুলি থমকে আছে। তদুপরি, কেন্দ্র পরিচালনার জন্য বর্তমান বার্ষিক ৪০ লাখ টাকার বাজেট সম্পূর্ণ অপর্যাপ্ত। অতএব, আমি শিক্ষা মন্ত্রকের কাছে জোরালোভাবে আবেদন জানাচ্ছি যেন অবিলম্বে বাকি ৪৭.৮০ কোটি টাকা মুক্তি দেওয়া হয় এবং কেন্দ্রের কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় অতিরিক্ত তহবিল বরাদ্দ করা হয়। এটি শিক্ষার্থীদের ক্ষমতায়ন ও অঞ্চলের সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”
অন্যদিকে মুর্শিদাবাদ লোকসভার সাংসদ আবু তাহের খান সীমান্তের রাস্তা নিয়ে সরব হন। বুধবার সংসদের জিরো আওয়ারে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, “সীমান্তে যেসকল রাস্তা রয়েছে, যা কেন্দ্রীয় সরকার দেখভাল করে থাকে। যেমন জলঙ্গি, রানীনগর, করিমপুর, ভগবানগোলা সহ সীমান্তের প্রায় দেড়শো কিলোমিটার রাস্তার অবস্থা বেহাল। প্রায় পাঁচ বছর ধরে কেন্দ্রীয় সরকার ওই রাস্তা সংস্কারের কোন অনুদান দেয়নি। কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্যোগে রাস্তাগুলি যাতে মেরামত হয় তার জন্য আবেদন রাখছি।”
উল্লেখ্য গত সপ্তাহে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কয়েকজন বিএসএফ আধিকারিক সাংসদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। মূলত তাদের দাবিই আবু তাহের খান তুলে ধরেছেন বলে ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে খবর।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct