আপনজন ডেস্ক: ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের প্রধান ত্রাণ সংস্থা এখন তীব্র তহবিল সঙ্কটের মুখে। তাদের সামনে বিভিন্ন সেবা এখন কাটছাট করা ছাড়া কোনো পথ খোলা নাই। ফলে লাখ লাখ ফিলিস্তিনি আরেকটি দুর্যোগের মুখে দাঁড়িয়ে। এমন অভিযোগও শোনা যায় যে, হামাসের ২০২৩ সালের হামলার সঙ্গে সংস্থার কোনো কোনো কর্মীর সক্রিয় অংশগ্রহণ ছিল। ইউনাইটেড ন্যাশন্স রিলিফ এবং ওয়ার্কস এজেন্সি ফর প্যালেস্টাইন রেফুজিস ইন দি নিয়ার ইস্ট (ইউএনআরডব্লিউএ) অনেক সমস্যা নিয়ে এখনো গাজা উপত্যকা ও পশ্চিম তীরে কাজ করে যাচ্ছে। জানুয়ারি পর্যন্ত পাওয়া তথ্যে দেখা গেছে, এখনো সেখানে এই কাজের জন্য তাদের ৩৩ হাজার কর্মী নিযুক্ত আছে। জানুয়ারির শেষের দিকে ইউএনআরডব্লিউএর বিদেশি স্টাফদের পূর্ব জেরুজালেম থেকে ইসরাইল বহিষ্কার করে। তবে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর লড়াই শুরুর পর ইউএনআরডব্লিউএ এখনো গাজায় প্রধান খাদ্য, ত্রাণ ও চিকিৎসাসেবা দানকারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। গাজার ২০ লাখ মানুষ মূলত এই সংস্থাটির ওপর বিশেষভাবে নির্ভরশীল। এছাড়া বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) ও ইউনিসেফের মতো জাতিসংঘের অন্যান্য এজেন্সিগুলোও সেখানে ভূমিকা রাখছে। ইউএনআরডব্লিউএ চলে মূলত মূলত জাতিসংঘের সদস্য দেশগুলোর। স্বেচ্ছাসেবীমূলক তৎপরতা ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মতো আঞ্চলিক জোটগুলোর সহযোগিতায়। গত বছর ইউএনআরডব্লিউএর পরিচালনা বাজেট ছিল ৮৮০ মিলিয়ন ডলারের ওপর। যার ৯৫ শতাংশই পূরণ হয় সদস্য দেশগুলোর স্বেচ্ছামূলক দান থেকে। মাত্র ৫ শতাংশ জাতিসংঘের মূল বাজেট থেকে অংসে। বলা বাহুল্য, যুক্তরাষ্ট্র সংস্থার তহবিলের সর্ববৃহৎ যোগানদাতা। লক্ষ্য করলে দেখা যাবে, গত দুই বছরে ইউএনআরডব্লিউএকে দেওয়া যুক্তরাষ্ট্রের আর্থিক সহায়তা ক্রমান্বয়ে কমেছে। ২০২৩ সালে পরিমাণটি ছিল ৩৭১ মিলিয়ন ডলার, ২০২৪ এ তা কমে ১২২ মিলিয়নে পঁড়ায়। ফিলিস্তিনিদের জন্য ত্রাণের চাহিদা যখন তীব্রভাবে বাড়তে থাকে-এমন সময় ইউএনআরডব্লিউএর তহবিল সংকুচিত হওয়া শুরু করে। যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া সংস্থার আরেক বড় তহবিল যোগানদাতা সুইডেন। আর্থিক সমৃদ্ধশালী ইউরোপের এদেশটিও গাজা ইসরাইলের অব্যাহত হামলার পটভূমিতে ত্রাণ যোগান কমিয়ে দেয়।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct