আপনজন ডেস্ক: এসডিপিআই-এর জাতীয় সভাপতি এম. কে. ফাইজিকে অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় ব্যাপক বিক্ষোভ মিছিল ও সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।রাজাবাজারে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সভায় জাতীয় সম্পাদক তায়েদুল ইসলাম বলেন, “সরকার রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে এসডিপিআই-এর সর্বভারতীয় সভাপতি এম. কে. ফাইজিকে ভিত্তিহীন অভিযোগে গ্রেপ্তার করেছে। ওয়াকফ সংশোধনী বিলের বিরুদ্ধে দেশজুড়ে চলমান আন্দোলন দমন করতেই এই ষড়যন্ত্রমূলক গ্রেপ্তার করা হয়েছে।” ডোমকলে রাজ্য সভাপতি হাকিকুল ইসলাম বলেন, “বিজেপি সরকার পরিকল্পিতভাবে বিরোধী নেতাদের দমন করছে। আপ মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল, ঝাড়খন্ড মুক্তি মোর্চার মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের পর এবার এসডিপিআই-এর সভাপতি এম. কে. ফাইজিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ২০১৪ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে ইডি ১২১ জন রাজনৈতিক নেতার বিরুদ্ধে তদন্ত চালিয়েছে, যার মধ্যে ১১৫ জনই বিরোধী দলের।”
তিনি আরও বলেন, “ওয়াকফ বিল ফেব্রুয়ারির ২১-২৮ তারিখের মধ্যে সংসদে উত্থাপনের কথা থাকলেও নিয়ম বহির্ভূতভাবে আগেই রাজ্যসভায় পেশ করা হয়েছে। এর প্রতিবাদে এসডিপিআই দেশজুড়ে ১৭টি রাজ্যে ব্যাপক আন্দোলন সংগঠিত করেছে, যা সরকারকে চাপে ফেলে দিয়েছে। এই কারণেই ভীত সরকার দমনমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে এবং আমাদের সর্বভারতীয় সভাপতিকে গ্রেপ্তার করেছে।”
এসডিপিআই-এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, যদি সরকার অবিলম্বে এম. কে. ফাইজিকে মুক্তি না দেয়, তাহলে সারা দেশে আরও বৃহত্তর গণআন্দোলন গড়ে তোলা হবে। এম কে ফাইজির নিঃস্বার্থ মুক্তির দাবিতে এদিন
কলকাতার রাজাবাজার, বীরভূমের লোহাপুর, মুর্শিদাবাদের বহরমপুর, ডোমকল, রানীনগর, লালবাগ, লালগোলা, রঘুনাথগঞ্জ, সামসেরগঞ্জ, ফরাক্কা, সুতি, ধুলিয়ান, সাগরদিঘীসহ বিভিন্ন প্রান্তে সাধারণ মানুষ সরকারের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমেছে।
ওয়াকফ সম্পত্তি আমাদের অধিকার—এটি রক্ষার লড়াই শেষ নিশ্বাস পর্যন্ত চলবে!”
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct