আপনজন ডেস্ক: সম্প্রতি, মুসৌরি দেরাদুন উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বা এমডিডিএ-এর একটি দল উত্তরাখণ্ডের দেরাদুন জেলার বেশ কয়েকটি মাদ্রাসার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে। এর বিরোধিতায়, বুধবার মুসলিমরা দেরাদুন জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের অফিস ঘেরাও করে এবং তাদের অসন্তোষ প্রকাশ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। বিষয়টি আরও তীব্র হওয়ায় পুলিশ ডাকা হয়। পুলিশ অশান্তি সৃ্ষ্টির অভিযোগে বেশ কয়েকজনকে আটক করেছে।
মুসলিম সংগঠনগুলির অভিযোগ, বর্তমানে পবিত্র রমজান মাস চলছে এবং এমডিডিএ কর্তৃপক্ষ ইচ্ছাকৃতভাবে এই ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে। মুসলিম সংগঠনগুলি রমজান মাসে পরিচালিত এই কর্মকাণ্ডকে বিদ্বেষপূর্ণ বলে বর্ণনা করেছে। তাদের অভিযোগ, জেলা প্রশাসন তাদের কোনও নোটিশ দেয়নি, এমনকি তাদের পদক্ষেপ সম্পর্কে কোনও পূর্ব তথ্যও দেয়নি।
মুসলিমরা জানিয়েছেন, জেলা প্রশাসন যদি এই পদক্ষেপ বন্ধ না করে, তাহলে তাদের বিক্ষোভ আরও বাড়বে। মুসলিম সংগঠনটি জেলা প্রশাসনের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতা করার অভিযোগ তুলেছে। আইনের অধীনে মসজিদ ও মাদ্রাসা বন্ধ করা হচ্ছে, প্রশাসন তা কোনও তথ্য দিচ্ছে না। সমস্ত পদক্ষেপ কোনও নোটিশ ছাড়াই নেওয়া হয়েছে, এটি কোথাও না কোথাও প্রশাসনের ব্যর্থতা। এই সমস্ত বিষয় নিয়ে সবাই জেলা কালেক্টরের অফিসে পৌঁছেছিল, কিন্তু জেলা কালেক্টর একটি মিটিংয়ে ব্যস্ত, তাই তিনি এখানে আসতে পারেননি। তবে, আমরা অন্যান্য দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলেছি। প্রশাসন কর্তৃক বন্ধ করে দেওয়া মসজিদ ও মাদ্রাসাগুলিকে আবার খোলার জন্য বলা হয়েছে।
এসপি সিটি প্রমোদ কুমার বলেন, মুসলিম সংগঠনের লোকেরা তাদের দাবি নিয়ে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কার্যালয়ে যান। সংগঠনটি জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সাথে দেখা করে ও ফিরে যেতে অস্বীকৃতি জানায় এবং সেখানেই অবস্থান ধর্মঘটে বসে। শান্তি বজায় রাখার জন্য, পুলিশ মুসলিম সংগঠনের লোকদের আটক করে দেরাদুন পুলিশ লাইনে নিয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর সবাইকে ছেড়ে দেওয়া হল।
তিনি জানান, গত তিন দিনে, এমডিডিএ এবং জেলা প্রশাসনের দল দেরাদুন জেলায় ৪টি অবৈধ মাদ্রাসা ও একটি ‘অবৈধ’ মসজিদ সিল করে দিয়েছে, যার বিরোধিতা করেছে মুসলিম সম্প্রদায়।
জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কার্যালয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালনকারী কিছু ব্যক্তিকে পুলিশ আটকও করেছে।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct