আপনজন ডেস্ক: গত এক সপ্তাহে পশ্চিম আফ্রিকার দেশ বেনিনে সশস্ত্র গোষ্ঠী ও সেনাবাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষে ১০ জন নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে একজন সেনা সদস্যও রয়েছেন। দেশটিতে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। দেশটির দক্ষিণে অর্থনৈতিক রাজধানী কোতোনু আন্তর্জাতিক পর্যটকদের আকর্ষণ করলেও দরিদ্র উত্তরাঞ্চলে দীর্ঘদিন ধরে এমন হামলা হয়ে আসছে। সরকার এগুলোকে প্রতিবেশী বুরকিনা ফাসো ও নাইজার থেকে জিহাদিদের প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা বলে বিবেচনা করে।
সামরিক সদর দপ্তরের এক ঘনিষ্ঠ সূত্র শনিবার জানায়, বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত সেনাবাহিনী ‘একটি আক্রমণাত্মক অভিযান’ চালায়, যেখানে ৯ জন ‘সন্ত্রাসী’ নিহত হয়। এ ছাড়া স্থানীয় একটি সূত্র জানায়, এই অভিযান কারিমামা এলাকায় চালানো হয়। এর আগে কান্টোরো অঞ্চলে পুঁতে রাখা বোমার বিস্ফোরণে এক সেনা সদস্য নিহত ও দুজন আহত হন।
দুটি এলাকাই নাইজারের সীমান্তবর্তী, যদিও বুরকিনা ফাসোর সীমান্ত অঞ্চলই প্রধান সংঘর্ষস্থল হিসেবে বিবেচিত হয়।
তবে সম্প্রতি নাইজার সীমান্তের কাছেও হামলা বৃদ্ধি পেয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন সেনা কর্মকর্তা বলেন, স্থল অভিযানের সহায়তায় চালানো বিমান হামলায় ‘সন্ত্রাসীদের’ একটি গুরুত্বপূর্ণ রসদ সরবরাহ কেন্দ্র ধ্বংস করা হয়েছে।
সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা
এদিকে বুরকিনা ফাসো ও নাইজারে দীর্ঘদিন ধরে আল-কায়েদা ও ইসলামিক স্টেট সংশ্লিষ্ট গোষ্ঠীগুলো সহিংসতা চালিয়ে আসছে। তারা প্রায়ই সাম্প্রদায়িক ও রাজনৈতিক উত্তেজনাকে কাজে লাগিয়ে এবং রাষ্ট্রের দুর্বল উপস্থিতির সুযোগ নিয়ে বিস্তৃতি ঘটিয়েছে।
অন্যদিকে বেনিনের উত্তরাঞ্চলে হামলার বৃদ্ধি দেশটিতে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা সৃষ্টি করেছে।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে অজ্ঞাতপরিচয় বন্দুকধারীদের হামলায় ছয় বেনিনীয় সেনা নিহত হন। জবাবে সেনাবাহিনী ১৭ জন হামলাকারীকে হত্যা করে। এর এক মাস আগে আল-কায়েদা সংশ্লিষ্ট গ্রুপ টু সাপোর্ট ইসলাম অ্যান্ড মুসলিমসের দায় স্বীকার করা এক হামলায় ২৮ সেনা নিহত হন।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct