আপনজন: রমজান মাসেই রক্তদান শিবির করে মানুষের পাশে থাকার প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে যুব তৃণমূল। ব্লাডব্যাঙ্কে রক্তের ঘাটতি দূর করতে গোটা জেলা জুড়ে শিবির করে চলেছে।
বছরের শুরু থেকে গোটা জেলা জুড়ে রক্তদান শিবির করে চলেছে। গত বছর ব্লক ভিত্তিক রক্তদান শিবির করে জেলায় রক্তের ঘাটতি দূর করতে উদ্যোগী হয়েছিল। এবার অঞ্চল ভিত্তিক বেশি বেশি করে রক্তদান শিবির করে চলেছে। রবিবার রাজ্যের মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিনের বিধানসভা কেন্দ্র মোথাবাড়িতে রক্তদান শিবির হয়ে গেছে। মন্ত্রী নিজে হাজির থেকে রক্তদাতাদের উৎসাহিত করলেন। রমজান মাস শুরু হয়েছে, এর মধ্যে রক্তদান শিবিরে যুবরা যেভাবে এগিয়ে এসেছেন, তাঁদের ভূয়সী প্রশংসা করেন তিনি। এদিন কালিয়াচক-২ ব্লকের পঞ্চানন্দপুর-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের মেঘুটোলা স্ট্যান্ডে শিবির অনুষ্ঠিত হয়। জেলা যুব তৃণমূলের উদ্যোগে এবং কালিয়াচক-২ ব্লক যুব তৃণমূলের ব্যবস্থাপনায় চলে এদিনের শিবির। মোট ৪০ জন রক্তদাতা রক্ত দেন। মন্ত্রী ছাড়াও হাজির ছিলেন জেলা যুব তৃণমূল সভাপতি বিশ্বজিৎ মণ্ডল, কালিয়াচক-২ ব্লক যুব তৃণমূল সভাপতি তহিদুর রহমান, পঞ্চানন্দপুর-২ অঞ্চল যুব সভাপতি অভিজিৎ সরকার, স্থানীয় অঞ্চল প্রধান টিঙ্কু ঘোষ প্রমুখ। আবার বাকি ঘাটতি দূর করতে যুব তৃণমূল লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে।’ মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন জানান, যুবদের মধ্যে রক্তদানের আগ্রহ অকল্পনীয়। এই রমজান মাসেও তাদের উৎসাহ অবাক করার মতো। তৃণমূল যেমন রাজ্য সরকারের উন্নয়ন মূলক কাজ করে চলে, পাশাপাশি রক্তদানের মতো বিভিন্ন সামাজিক কাজেও হাজির থাকে। সেই দিক থেকে রক্তদানের ব্যাপারে আমাদের কালিয়াচক-২ ব্লক ভাল কাজ করে চলেছে। জেলা যুব তৃণমূল সভাপতি বিশ্বজিৎ মণ্ডল জানান, ‘গরম পড়তেই গোটা জেলা জুড়ে রক্তের সঙ্কট দেখা দেখা যায়। তার আগেই আমরা রক্তদান কর্মসূচিতে নেমে পড়েছি। পবিত্র রমজান মাসেও আমাদের যুবরা যেভাবে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে, তাদের প্রশংসা না করে থাকা যায় না। জেলায় বছরের শেষে ৩০-৩৫ হাজার ইউনিট রক্তের প্রয়োজন। সেখানে বিভিন্ন শিবির থেকে ১২-১৫ হাজার ইউনিট রক্তের জোগান আসে। আবার বাকি ঘাটতি দূর করতে যুব তৃণমূল লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে।’
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct