আপনজন ডেস্ক: রাজ্য সরকারের নিয়মে শিক্ষকদের অবসসেরর বয়স সীমা ৬০ বছর। সেই অবসরের মাত্র ১৫ ঘণ্টা আগে মৃত্যু হয়েছিল বর্ধমানের একটি স্কুলের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মহম্মদ কোরবান হোসেনের। বাবার চাকরি ৬০ বছর পূর্ণ না হওয়ায় অনুকম্পাজনিত নিয়োগের শর্তে স্কুল সার্ভিস কমিশনের কাছে চাকরি চেযেছিলেন কোরবান হোসেনের পুত্র মনিকুল হোসেন। কিন্তু স্কুল সার্ভিস কমিশন সেই আর্জি প্রত্যাখ্যান করায় কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মনিকুল। সেই মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্য স্কুল সার্ভিস কমিশনকে নির্দেশ দিলেন অবিলম্বে মনিকুল হোসেনকে চাকরির দেওয়ার জন্য। উল্লেখ্য, প্রয়াত অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক কোরবান হোসেনের জন্ম ১৯৬১ সালের ২ জানুয়ারি। ২০২১ সালের ১ জানুয়ারি হৃদরোগে তার মৃত্যু হয়। ওই প্রধানশিক্ষকের বয়স তখন ৫৯ বছর ১১ মাস ২৯ দিন। ১৫ ঘণ্টা পরে বয়স ৬০ বছর পূর্ণ হলে তাঁর অবসরের সময় হত। তাই সেই মতো তার পুত্র মনিকুল স্কুল সার্ভিস কমিশনের কাছে অনুকম্পাজনিত নিয়োগের শর্তে চাকরি দাবি করেন। কিন্তু স্কুল সার্ভিস কমিশনের তরফে জানানো হয়, ৬০ বছর বয়স হওয়ার মাত্র কয়েকঘণ্টা আগে মৃত্যু হয়েছে ওই প্রধান শিক্ষকের। অবসরের শেষলগ্নে মৃত প্রধান শিক্ষকের পরিবারের কাউকে চাকরি দেওয়া সম্ভব নয়। এসএসসি-র দাবিকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন মনিকুল। তাতে হাইকোর্ট তাকে চাকরি দেওয়ার নির্দেশ দেয়। হাই কোর্ট জানায়, মামলাকারী প্রধানশিক্ষকের ছেলের তথ্য এবং নথি সাত দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে পাঠাবেন জেলা স্কুল কর্তৃপক্ষ। তিন সপ্তাহের মধ্যে তাঁর অনুকম্পাজনিত চাকরিতে নিয়োগের সুপারিশ দেবে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। আদালতে মনিকুলের আইনজীবী ফিরদৌস শামিম দাবি করেন, চাকরিরত অবস্থায় কারও মৃত্যু হলে অবশ্যই তাঁর পরিবারের সদস্য চাকরি পাওয়ার যোগ্য। শুনানি শেষে বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্য মনিকুলকে চাকরি দেওয়ার নির্দেশ দেন।
হাই কোর্টের রায়ে স্বাভাবিকভাবেই স্বস্তিতে মামলাকারী।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct