আপনজন ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে সিবিআই তাদের তৃতীয় চার্জশিটে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম উল্লেখ করে বলেছে, অবৈধ নিয়োগের জন্য ১৫ কোটি টাকা দাবি করেছিলেন তিনি। রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস অবশ্য অভিযোগ করেছে, তদন্তকারী সংস্থা দলীয় সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা করছে। চলতি সপ্তাহে পেশ করা চার্জশিটে ওই ব্যক্তির পরিচয় স্পষ্ট করেনি সিবিআই। কেন্দ্রীয় এজেন্সি উল্লেখ করেছে, ‘ইতিমধ্যেই যে সব বেআইনি নিয়োগ হয়েছে, তার জন্য অভিষেক ব্যানার্জি ৫০ কোটি টাকা চেয়েছিলেন। সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র জানায়, ওই প্রার্থীরা ইতিমধ্যেই প্রত্যেকে সাড়ে ৬ লক্ষ টাকা করে দিয়েছে। আর টাকা তিনি তুলতে পারবেন না। তখন অভিষেক ব্যানার্জি সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে বলেন, অবিলম্বে ওই প্রার্থীদের নিয়োগ বন্ধ করো নাহলে দূরে কোথাও পোস্টিংয়ের ব্যবস্থা করো।’ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, যিনি শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ইডি এবং সিবিআইয়ের সামনে একাধিকবার হাজিরা দিয়েছেন, তিনি চার্জশিটকে পাল্টা আক্রমণ করেছেন এবং এটিকে “রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বিবরণ” বলে অভিহিত করেছেন। সাংসদের তরফে তাঁর আইনজীবী সঞ্জয় বসু বুধবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ‘সিবিআইয়ের এই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ন্যারেটিভ আসলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্মানে ইচ্ছাকৃত ভাবে কালি ছেটানোর নিন্দনীয় প্রচেষ্টা। অন্যদের সঙ্গে জড়িত একটি মামলায় কিছু অসমর্থিত স্টেটমেন্ট জুড়ে দিয়ে তদন্তকারী এজেন্সি নিজেই তার তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন তুলে দিল।’
চার্জশিটে সিবিআই েয অভিযোগ তুলেছে সেই অভিযোগকে ভিত্তিহীন আখ্যা দিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আইনজীবী আরও বলেন, ইডির মাধ্যমে ব্যর্থ হওয়ার পর রাজনৈতিক শক্তি সিবিআইয়ের দ্বারস্থ হয়েছে, কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলিকে তাদের অ্যাজেন্ডা চাপিয়ে দেওয়ার অপব্যবহার করছে। প্রমাণের অভাব সত্ত্বেও সন্দেহ তৈরি করার জন্য এটি একটি মরিয়া প্রচেষ্টা। বেআইনি শিক্ষক নিয়োগে জড়িত থাকার অভিযোগে ২০২২ সালের জুলাই মাসে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং পশ্চিমবঙ্গ স্কুল সার্ভিস কমিশনের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করার পরে এই কেলেঙ্কারি আলোচনায় আসে।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct