আপনজন ডেস্ক: কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ বিন খলিফা আলে সানি ও তার সফরসঙ্গীরা তেহরানে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ কথা বলেন। ইসলামি বিপ্লবের নেতা আশা প্রকাশ করে বলেন, তেহরানে সম্পাদিত চুক্তিগুলো উভয় দেশের জন্য কল্যাণকর হবে এবং উভয় পক্ষই তাদের প্রতিবেশীসুলভ দায়িত্ব-কর্তব্য আগের চেয়ে আরও বেশি করে পালন করতে সক্ষম হবে।
আয়াতুল্লাহ খামেনি আঞ্চলিক বিষয়াদি সম্পর্কে কাতারের আমিরের বক্তব্যের প্রতি ইঙ্গিত করে আরও বলেন, আমরা কাতারকে ভ্রাতৃপ্রতিম ও বন্ধু রাষ্ট্র হিসেবে বিবেচনা করি, যদিও আমাদের মধ্যে এখনও কিছু অমীমাংসিত বিষয় রয়েছে, যেমন দক্ষিণ কোরিয়া থেকে কাতারে স্থানান্তরিত ইরানি পাওনা (অর্থ) ফিরে আসেনি। আমরা জানি এ ক্ষেত্রে যেসব সমঝোতা হয়েছিল তা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে প্রধান বাধা হলো যুক্তরাষ্ট্র।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা বলেন, আমরা কাতারের জায়গায় থাকলে মার্কিন চাপ উপেক্ষা করে ইরানের পাওনা পরিশোধ করতাম। আমরা এখনো কাতারের কাছ থেকে এমন পদক্ষেপ আশা করি। বৈঠকে কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ বিন খলিফা আলে সানি ইসলামী বিপ্লবের নেতার সঙ্গে সাক্ষাত করতে পেরে আনন্দ প্রকাশ করেন এবং বিশ্বের নির্যাতিত মানুষ ও ফিলিস্তিনি জনগণের সমর্থনে ইসলামি প্রজাতন্ত্রের দৃঢ় অবস্থানের প্রশংসা করেন। সর্বোচ্চ নেতাকে সম্বোধন করে কাতারের আমির বলেন, ফিলিস্তিনি জনগণের পক্ষে আপনার অবস্থানের কথা চিরদিন মনে থাকবে।
এই অঞ্চলের বিশেষ ও কঠিন পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে কাতারের আমির এমন পরিস্থিতিতে আঞ্চলিক দেশগুলোর মধ্যে বৃহত্তর সহযোগিতা গড়ে তোলা জরুরি বলে মন্তব্য করেন। শেখ তামিম বিন হামাদ বিন খলিফা আলে সানি ইরান ও কাতারের মধ্যে সম্পাদিত চুক্তিগুলোর কথাও উল্লেখ করেন, এসব চুক্তির মধ্যে একটি হলো দুই দেশের মধ্যে পানির নিচে টানেল নির্মাণ। কাতারের আমির আরও বলেন, সম্পাদিত চুক্তির ভিত্তিতে দুই দেশের যৌথ কমিশন শিগগিরই কাজ শুরু করবে এবং অদূর ভবিষ্যতে দুই দেশের অর্থনৈতিক লেনদেনের পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct