সঞ্জীব মল্লিক , বাঁকুড়া, আপনজন: শিক্ষকেরা আসি যাই মাইনে পাই, পঠন পাঠনের অবহেলায় স্কুলে দ্রুত কমছে পড়ুয়ার সংখ্যা, স্কুলে শিক্ষকেরা দেরিতে পৌঁছাতেই ক্ষোভে ফেটে পড়লেন অভিভাবকেরা।
স্কুলের পরিকাঠামো আছে। আছে পড়ুয়া এমনকি পর্যাপ্ত শিক্ষকও। কিন্তু স্কুলে শিক্ষকদের আসি যাই মাইনে পাই মনোভাবের জন্য ধীরে ধীরে লাটে উঠছে স্কুলের পঠন পাঠন। আজ শিক্ষকেরা দেরিতে স্কুলে পৌঁছাতেই ক্ষোভে ফেটে পড়লেন এলাকার অভিভাবকেরা। এদিনও স্কুলে পৌঁছে দেরিতে পৌঁছানোর নানা অজুহাত দেখালেন শিক্ষকেরা।
বাঁকুড়া ১ নম্বর ব্লকের ছাতারডিহি প্রাথমিক বিদ্যালয়। একসময় এই স্কুলে সব মিলিয়ে পড়ুয়া ছিল ৫০ থেকে ৬০ জন। লেখাপড়ার মানও ছিল ভালো।
কিন্তু স্কুলে থাকা দুই শিক্ষকের আসি যাই মাইনে পাই মনোভাবের জন্য ধীরে ধীরে স্কুলে পঠন পাঠনের মান যেমন নেমেছে তেমনই ধীরে ধীরে নেমেছে পড়ুয়ার সংখ্যাও। পড়ুয়ার সংখ্যা এখন নামতে নামতে ঠেকেছে মাত্র ২৯ জনে। এদিনও স্কুলে শিক্ষকেরা এসে পৌঁছান ১১ টা ১৫ নাগাদ। এদিনও দেরিতে শিক্ষকেরা এসে পৌঁছানোয় শিক্ষকদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। অভিভাবকদের দাবী স্কুলে সাড়ে দশটার মধ্যে শিক্ষকদের পৌঁছানোর কথা থাকলেও প্রায় দিন শিক্ষকেরা স্কুলে আসেন ইচ্ছেমতো। কোনো কোনো দিন শিক্ষকদের স্কুলে পৌঁছাতে সাড়ে এগারোটা বারোটাও বেজে যায়। স্কুল ছুটির ক্ষেত্রেও কোনো নিয়ম নীতির তোয়াক্কা করেন না শিক্ষকেরা। কখনো কখনো বেলা ২ টার পর পড়ুয়াদের মিড ডে মিল খাইয়েই ছুটি দিয়ে দেওয়া হয় স্কুল। মাঝেমধ্যে দুই শিক্ষক কোনো কারণ ছাড়াই নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করে স্কুলে আসেন। স্কুলে এসেও পড়ুয়াদের দিয়ে জল আনানো সহ অন্যান্য কাজ করার অভিযোগও উঠেছে শিক্ষকদের বিরুদ্ধে। আজ দেরিতে স্কুলে পৌঁছানোর ব্যাপারে শিক্ষকেরা তেমন জোরালো সাফাই দিতে না পারলেও অন্যান্য অভিযোগ অস্বীকার করেছেন শিক্ষকেরা। শিক্ষকদের দাবী বিভিন্ন অফিসিয়াল ও ব্যক্তিগত কাজকর্ম থাকার ফলেই কখনো কখনো এমন অবস্থা হয়।
ছবি: চিরঞ্জিত বিশ্বাস
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct