আপনজন ডেস্ক: যুদ্ধবিরতির চুক্তি অনুযায়ী অনুমতি থাকার পরও রাফাহ সীমান্তে পুনর্গঠন সামগ্রী প্রবেশ করতে দেয়নি ইসরাইল। এ নিয়ে তীব্র নিন্দার ঝড় উঠে। এমন আবহে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দােলন হামাস জানায়, তারা জিম্মি মুক্তি থেকে সরে আসবে। ফলে যুদ্ধবিরতি ঠিকবে কি না তা নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়।
অবশেষে চাপের মুখে পড়ে গাজায় পুনর্গঠন সামগ্রী প্রবেশ করতে দিচ্ছে ইসরাইল। মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে টাইমস অব ইসরাইল।
সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবি ও ভিডিওতে দেখা গেছে, ইসরাইলের অনুমতির অপেক্ষায় গাজায় ধ্বংসস্তূপ সরানোর কাজে ব্যবহারের জন্য পাঠানো বুলডোজার, রোড রোলার এবং কারাভানবাহী ট্রাকগুলো দুই সপ্তাহ ধরে রাফাহ সীমান্তে আটকে রয়েছে।
চুক্তি অনুযায়ী, প্রথম ধাপে ৬০,০০০ অস্থায়ী ঘর ও ২,০০,০০০ তাঁবু প্রবেশের অনুমতি দেওয়ার কথা ছিল, যা ১ মার্চের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা। একইসঙ্গে ধ্বংসাবশেষ সরানোর জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ সরঞ্জাম প্রবেশের অনুমতি দেওয়ারও কথা ছিল।
একজন ইসরাইলি কর্মকর্তার মতে, ইসরাইল গাজায় মোবাইল হোম এবং ভারী নির্মাণ যন্ত্রপাতি প্রবেশে অনুমতি দিবে, যা ৬ জন জীবিত জিম্মির মুক্তির প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করতে সহায়ক হবে।
টাইমস অব ইসরাইলকে ওই কর্মকর্তা জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ৬ জন জীবিত জিম্মির মুক্তির জন্য ব্যাপক চেষ্টা চালাচ্ছেন, যা যুদ্ধবিরতির চুক্তির প্রথম পর্যায়ের অংশ। এছাড়াও চারজন মৃত জিম্মির মরদেহ ফিরিয়ে আনারও চেষ্টা চলছে।
তিনি আরও বলেন, চুক্তি অনুসারে, ইসরাইল কঠোর পরিদর্শনের পর গাজায় মোবাইল হোম এবং নির্মাণ যন্ত্রপাতি প্রবেশে সম্মত হয়েছে। চুক্তির শর্ত মেনে চললে এবং হামাস চুক্তি পালন করলে, ইসরাইল এই প্রক্রিয়া ধীরে ধীরে শুরু করবে।
চুক্তি অনুযায়ী, হামাস বৃহস্পতিবারে চারটি মৃত জিম্মির মরদেহ এবং শনিবারে তিনজন জীবিত জিম্মি মুক্তি দিবে।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct