রূপম চট্টোপাধ্যায় , হুগলি, আপনজন: গত ১২ ফেব্রুয়ারি চন্ডীতলা থানার ভগবতীপুর সিংজোড় গ্রামে একটি পথকুকুরকে কেউ পাখি মারা বন্দুক দিয়ে গুলি করে। কুকুরটির নাকের নীচে ফুটো করে গুলিটি ভেতরে ঢুকে যায়। প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়।কিন্তু ওর সঙ্গী কুকুরটি সেই রক্ত চেটে পরিস্কার করে দেয়। খবর পেয়ে ১৩ ফেব্রুয়ারী সকালে আশ্রয় হোম এন্ড হসপিটাল ফর এ্যানিম্যাল ওয়েলফেয়ার এ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা এলাকায় যান। কিন্তু আড়াই তিন ঘন্টা চেষ্টা করার পরেও কুকুরটিকে ধরা যায়নি। ফলে চিকিৎসাও শুরু করা যায়নি। স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, করোনার অতিমারির সময়ে কুকুরটি খাবারের খোঁজে ঐ এলাকায় আসে। শান্ত কুকুরটিকে ভালবেসে এলাকার মানুষজন খাবার দেওয়া শুরু করে। তারপর থেকে পূর্ণ বয়স্ক কুকুরটি ওখানেই ছিল। কুকুরটিকে নির্মম ভাবে মারায় এলাকার মানুষ ক্ষুব্ধ।
ধনিয়াখালি থানার শেরপুর গ্রামে গত ৭ ফেব্রুয়ারী একটি পথকুকুরকে তীর মারা হয়। খবর পেয়ে তারকেশ্বরের একটি পশুপ্রেমীদের সংগঠন এলাকায় যান। কিন্তু কুকুরটিকে উদ্ধার করা যায়নি। পরে ১০ ফেব্রুয়ারী কুকুরটিকে উদ্ধার করে সোনারপুরে ছায়া পশুহাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ঐ দিনই অপারেশন করে তীরটি বের করা হয়। ঘটনার বিরুদ্ধে আশ্রয় হোম এন্ড হসপিটাল ফর এ্যানিম্যাল ওয়েলফেয়ার এ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ জানানো হবে বলে ঐ সংগঠনের সদস্য অভিষেক ঘোষ জানান। রিষড়া থানার চার নম্বর রেল গেটের পাশ থেকেও পশু নির্যাতনের অভিযোগ আসে। ওখানে জনৈক মদ্যপ তিনটি শিশু সারমেয়কে লাঠির বাড়ি মেরে পা ভেঙে দেয়। এলাকাবাসী ওই সারমেয়দের চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছেন। থানায় গণস্বাক্ষরিত অভিযোগ করার প্রক্রিয়াও চলছে। আশ্রয় হোম এন্ড হসপিটাল ফর এ্যানিম্যাল ওয়েলফেয়ার এ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক গৌতম সরকারের বক্তব্য কিছু বর্বর মানুষের নৃশংস অত্যাচারের শিকার হচ্ছে পশুরা। এর বিরুদ্ধে কঠিন আইন ও তার প্রয়োগ জরুরি।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct