চন্দনা বন্দ্যোপাধ্যায়, সুন্দরবন, আপনজন: এবার জলদস্যুদের কবলে দুই মৎস্যজীবী সুন্দরবনে। কাঁকড়া ধরতে নৌকোয় দুই মৎস্যজীবী গিয়েছিলেন সুন্দরবনের আরবেশের জঙ্গলে। আর সেখানে আচমকা জলদস্যুর হানা। মারধর করে চোখের সামনেমোবাইল সহ যা ছিল, তা নিয়ে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। খালি নৌকো নিয়ে প্রাণ বাঁচিয়ে কোনওক্রমে ঘরে ফিরলেন মৎস্যজীবীরা। পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে সুন্দরবন কোস্টাল থানার পুলিশ। সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ অংশের বাসিন্দাদের পেটের তাগিয়ে নিয়মিত যায় গভীর জঙ্গলে। সেখানে প্রতিমুহূর্তে মৃত্যুর সাথে লড়াই করে তাঁরা । বহু মৎস্যজীবী বাঘের কবলে পড়েন। মৃত্যুর ঘটনাও নেহাত কম ঘটে না। তা সত্ত্বেও উপার্জনের তাগিদে কাঁকড়া,মাছ ধরতে মৎস্যজীবীদের যেতেই হয়। বৃহস্পতিবার সুন্দরবন কোস্টাল থানার ছোট মোল্লাখালির বাসিন্দা দুজন মৎস্যজীবী গিয়েছিলেন আরবেশের জঙ্গলে। হঠাৎ ৫ থেকে ৬ জনের একটি দল হামলা চালায় তাদের নৌকোয়। অভিযোগ, দুই মৎস্যজীবীকেই বেধড়ক মারধর করা হয়। তাঁদের কাছে থাকা মোবাইল,জাল ও যাবতীয় সবকিছু ছিনিয়ে নেয় দুষ্কৃতীরা। বাধা দিয়েও কোনও লাভ হয়নি। এমনকি তাদের মারধর করা হয়। এরপর আহত অবস্থায় খালি নৌকো নিয়ে কোনও ক্রমে নিজেদের প্রাণ বাঁচিয়ে ঘরে ফেরেন ওই মৎস্যজীবীরা। শুক্রবার বেলায় তাঁরা সুন্দরবন কোস্টাল থানায় অভিযোগ দায়ের করে। আর তাঁর পরেই অভিযুক্তদের খোঁজে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ ও বনদপ্তর। এই ঘটনায় প্রবল আতঙ্ক ছড়িয়েছে মৎস্যজীবীদের মধ্যে। বারবার এই ঘটনায় আতঙ্কিত মৎস্যজীবিরা। আর এই ঘটনার পুলিশ প্রশাসনের ব্যর্থতাকেই দায়ী করেছেন মৎস্যজীবীদের পাশে থাকা মানবাধিকার সংগঠন এপিডিআর। শুক্রবার এপিডিআরের দ:২৪ পরগনা জেলা সহসম্পাদক মিঠুন মন্ডল বলেন, সুন্দরবনের মৎস্যজীবীদের বিকল্প কর্মসংস্থান না থাকায় তাঁরা মাছ কাঙড়া ধরে জীবিকা নির্বাহ করে। আর তাদের ওপর জলদস্যুদের হানার পরেও পুলিশ প্রশাসনের হেলদোল নেই কেন। আমরা চাই অবিলম্বে দোষীদের গ্রেফতার করুক পুলিশ।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct