জিয়াউল হক, চুঁচুড়া, আপনজন: শুক্রবার সকালে চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার জনসংযোগে বেরিয়ে আশাবাদী কণ্ঠে জানালেন, ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস ২৫০-এর বেশি আসনে জয়লাভ করবে। তিনি স্পষ্টভাবে বলেন, এটি ভোটের প্রচার নয়, বরং দলের নীতিগত অবস্থান অনুযায়ী সারাবছর সাধারণ মানুষের পাশে থাকার একটি উদ্যোগ।
শুক্রবার সকালে চুঁচুড়ার দেবানন্দপুর পঞ্চায়েতের লালবাবা আশ্রম মাঠ এলাকায় পৌঁছে বিধায়ক অসিত মজুমদার স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেন ও তাঁদের অভাব-অভিযোগ শোনেন। বেশ কয়েকজন বাসিন্দা জানান, আগে পানীয় জলের সমস্যা ছিল, কিন্তু বর্তমানে সেই সমস্যা মিটে গেছে। তবে রাস্তাঘাট ও নিকাশির সমস্যা এখনও রয়ে গেছে, বিশেষ করে আশ্রম মাঠ এলাকাটি নিচু হওয়ায় সামান্য বৃষ্টি হলেই জল জমে যায় এবং আশেপাশের বাড়িগুলিতে জল ঢুকে পড়ে।
এ বিষয়ে বিধায়ক বলেন, “এই এলাকায় জমির দাম কম হওয়ায় মানুষ সেগুলো কিনেছেন, তবে আমরা চেষ্টা করছি নিকাশি ব্যবস্থার উন্নতি করতে। ইতিমধ্যেই বহু জায়গায় রাস্তা ও পানীয় জলের ব্যবস্থা করেছি। আগামী দিনেও সব সমস্যার সমাধান হবে।”
এলাকার এক বাসিন্দা বলেন, “আগে এখানে কিছুই ছিল না। তৃণমূল সরকার আসার পর আমরা অনেক কিছু পেয়েছি। তাই আমরা দলের পাশে আছি এবং ভবিষ্যতেও থাকব।”বিধায়ক অসিত মজুমদার বলেন, “২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল ২৫০-এর বেশি আসন পাবে। আমরা সারা বছরই মানুষের পাশে থাকি, তাঁদের সমস্যার সমাধান করি। এবারের ভোটেও মানুষ আমাদের উপর আস্থা রাখবে।”
যখন তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হয় যে, তিনি চুঁচুড়া বিধানসভা থেকে ফের প্রার্থী হচ্ছেন কি না, তখন তিনি বলেন, “আমি প্রার্থী হব কি না, সেটা দল ঠিক করবে। তবে যেই দাঁড়াক, জয় নিশ্চিত।”
বিধায়কের এই মন্তব্য ঘিরে চুঁচুড়া ও তার আশেপাশের এলাকায় রাজনৈতিক চর্চা শুরু হয়েছে। আগামী নির্বাচনে তৃণমূলের কৌশল কী হবে এবং দলের প্রার্থী তালিকায় কী পরিবর্তন আসবে, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক মহলে জল্পনা শুরু হয়েছে।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct