চন্দনা বন্দ্যোপাধ্যায়, জয়নগর, আপনজন: সামনের বছর বিধানসভার ভোট। আর তাঁর আগে সারা রাজ্যে নিজেদের সংগঠনকে আরো মজবুত করতে দীর্ঘ দিন প্রশাসকের হাতে থাকা সমবায় সমিতি গুলোতে নির্বাচনের কাজ শেষ করে নিতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেসের পরিচালিত সরকার। আর সেই মতো জয়নগর থানার বহড়ু সমবায় সমিতির নির্বাচনের দিন ঠিক হয় আগামী ৯ ই মার্চ।গত ১১ ই মার্চ থেকে মনোনয়ন জমা নেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে।চলবে ১৭ ই ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত।২০১৫ সালের পর দীর্ঘ দশ বছর পর এই সমবায়ে নির্বাচন হতে চলেছে।কোভিড সময়কালে ২০২০ সাল থেকে দীর্ঘ ৫ বছর প্রশাসকের হাতে ছিলো এই সমবায়।আর এই সময়ে সমবায়ের শেয়ার হোল্ডারদের প্রাপ্য ডিভিডেন্ড থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে বলে অভিযোগ। এমনকি বাৎসরিক মিটিং পর্যন্ত করা হয় নি এখানে।২০১৫ সালে এখানে তৃনমূল,কংগ্রেস,এস ইউ সি আই, সিপিআইএমের মিলিত বোর্ড ক্ষমতায় এসেছিল।আর এবারে তৃনমুল এখানে একাই লড়ছে সিপিআইএম,এস ইউসি আই,বিজেপি আলাদা করে মনোনয়ন জমা দিচ্ছে।সব মিলিয়ে এখানে নির্বাচন হতে চলেছে ওই দিন।১২৩২ জনের জয়ের ভাগ্য নির্ধারিত হবে ৪৯ জনের।আর সেই জয়ী ৪৯ জন থেকে ১২ জনের মূল কমিটি তৈরি হবে।এই ৪৯ জনের মধ্যে তিনটি আসন সংরক্ষিত রাখা হয়েছে।একটি তপশিলি জাতি বা উপজাতি ও দুটি কেবল মহিলাদের জন্য।এই সমবায়ের অধীন বহড়ু ক্ষেত্র গ্রাম পঞ্চায়েত ছাড়াও আশেপাশের দক্ষিন বারাশত পঞ্চায়েত,শ্রীপুর ও উওর দূর্গাপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার সদস্য আছে।এই সমবায়টির বয়স বর্তমানে একশো বছর।বৃহস্পতিবার জয়নগর ১ নং ব্লক তৃনমুল কংগ্রেসের সভাপতি তুহিন বিশ্বাসের নেতৃত্বে বহড়ু বলাকামাঠ থেকে বহড়ু বাজারের সমবায় সমিতির অফিস পর্যন্ত দলীয় কর্মী সমর্থক সহ ৪৯ জন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থীরা একসাথে মনোনয়ন জমা করতে আসেন বিশাল মিছিল সহকারে।আর এদিনের এই মিছিলে যে কোনো ধরনের গন্ডগোলের আশংকায় জয়নগর থানার পুলিশের বিশাল টিম মোতায়েন করা হয়েছিল বহড়ু এলাকায়।এ দিন এ প্রসঙ্গে জয়নগর এক নম্বর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি তুহিন বিশ্বাস বলেন,এতদিন বহড়ু সমবায় সমিতিতে এককভাবে তৃণমূল ক্ষমতায় ছিল না,তাই এলাকার মানুষ পরিষেবা থেকে বিচ্ছিন্ন ছিল।এবার থেকে তৃনমূল ক্ষমতায় এসে মানুষের পাশে থেকে কৃষকসহ সাধারণ মানুষদের সুষ্ঠু পরিষেবা প্রদান করবে। আমাদের জয় শুধু এখন সময়ের অপেক্ষা।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct