কাজী আমীরুল ইসলাম,বোলপুর, আপনজন: ডিষ্ট্রিক লিগ্যাল সার্ভিসেস অথরিটির একজন আইনী সহায়ক হিসেবে বিগত সাত বছরে দুই হাজারেরও বেশী ভাঙ্গা সংসার জুড়ে দিয়ে বেশ নজড় কেরেছেন বোলপুরের মহিউদ্দীন আহমেদ।প্রায় হাজার দুয়েক ভাঙা সংসার জোড়া লাগানোর পাশাপাশি নাবালিকা কন্যার বিয়ে বন্ধ করেছেন শ খানেকেরও বেশী। আর বিভিন্ন সমস্যা জর্জরিত হাজার হাজার মানুষকে দিয়েছেন আইনী সহায়তা। সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত এই মহিউদ্দীনকে থানার পুলিশ অফিসার, সমাজকর্মী, বিভিন্ন সংস্থা, রাজনৈতিক নেতা থেকে সাধারন মানুষ সারাদিনে ফোন করে জানান তাদের সমস্যার কথা। বোলপুরের পার্শ্ববর্তী শান্তিনিকেতন থানার লোহাগড় গ্রামে জন্ম মহিউদ্দীনের। বাংলা অর্নাস নিয়ে গ্র্যাজুয়েট করার পর বেশ কয়েক বছর একাধিক সাপ্তাহিক ও দৈনিক পত্রিকায় করেছেন সাংবাদিকতা। সাংবাদিকতা করার সময় একদিন খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে পরিচিত হন এক জজ সাহেবের সঙ্গে। সেই সূত্র ধরেই যোগ দেন সিউড়ী জেলা আদালতের ডিষ্ট্রিক লিগ্যাল সার্ভিসেস অথরিটি বা জেলা আইনী পরিষেবা কতৃপক্ষের সঙ্গে। ২০১৮ সালে তাকে প্রথম বোলপুর ও শান্তিনিকেতন থানায় নিয়োগ করা হয়। সাধারন মানুষকে আইনী সহায়তা, ছোটখাট বিবাদ নিষ্পত্তি, সাধারন মানুষকে আইনী বিষয়ে সচেতনতা করা সহ একাধিক আইনী সহায়তা বিষয়ক কাজ করেন তিনি। লক ডাউনের সময় উকিল বাবুরা যখন কর্মবিরতি পালন করছিলেন তখন বিশেষ আদেশে জেল বন্দী দের হয়ে অনেক কাজ করেন। আদালত যাদের জামিন মঞ্জুর করতো তাদের কাগজপত্র রেডি করে জেল থেকে মুক্ত করার কাজও করেছেন লক ডাউনের সময়। ভিনরাজ্যে আটকে পড়া অনেক পরিযায়ী শ্রমিককে বীরভূমে ফিরিয়ে আনতে বিষেশ উদ্যোগ নিয়ে তাদের বাড়ী ফিরিয়ে আনেন এই মহিউদ্দীন।
মহিউদ্দীনের কাজ কর্ম দেখে একাধিক সংগঠন সম্বর্ধনাও দিয়েছে, আকাশবাণীতে আইনী সহায়তা বিষয়ক বক্তব্য সম্প্রচার হয়েছে, তার কাজের খবর প্রকাশিত হয়েছে একাধিক সংবাদপত্রে। ডিষ্ট্রিক লিগ্যাল সার্ভিসেস অথরিটির বিচারে পরপর তিনবার জেলা থেকে “সেরা আইনী সহায়ক” হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন। সম্প্রতী ভিনরাজ্যে আটকে থাকা নির্যাতনের শিকার হওয়া এক কিশোরীকে উদ্ধার করার বিষয়ে বিশেষ উদ্যোগ নেন।
শান্তিনিকেতনের সমাজকর্মী শিক্ষিকা মনীষা বন্দ্যোপাধ্যায বলেন, মহিউদ্দীন কাজের ছেলে। অনেক সমস্যা জর্জরিত মহিলাকে ওর কাছে পাঠিয়েছিলাম। সবাই উপকৃত হয়েছেন। শান্তিনিকেতনের সমাজসেবী আমিনুল হুদা বলেন, বোলপুর এলাকার অনেকের অনেক সমস্যা নআমি ওর কাছেই পাঠিয়েছি, অনেকের হেল্প করেছে।
বর্তমানে তিনি বোলপুর, শান্তিনিকেতন, ইলামবাজার থানায়, বোলপুর সংশোধনাগারে কাজ করছেন আইনী সহায়তা দেবার বিষয়ে। জেলা পুলিশের একাধিক উচ্চ পদস্থ কর্তা থেকে প্রশাসনের আধিকারিক, আদালতের মহামান্য বিচারকদের সুসম্পর্কও তৈরী হয়েছে তার। সমাজের মানুষকে সচেতন করতে সোস্যাল মিডিয়া ব্যাবহার করে “মহির কলম” নামে ইউ টিউব চ্যানেলও রয়েছে তার। যেখানে সামাজিক সচেতনতা সহ তথ্যমূলক প্রতিবেদন তুলে ধরেন। এই মহিউদ্দীনের কাছ থেকে সমাজের প্রান্তিক পিছিয়ে পড়া বহু দুঃস্থ গরিব মানুষ উপকৃত হয়েছেন। বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ, সাইবার ক্রাইম, ইভটিজিং থেকে সুরক্ষা সহ নানা বিষয়ে স্কুল ছাত্র-ছাত্রী থেকে সাধারন মানুষকে সচেতন করার শিবিরও করেছেন হাজার খানেক। স্বামী স্ত্রীর মধ্যে সাংসারিক অশান্তি বা আত্মীয় স্বজনদের মধ্যে জমি জায়গা সংক্রান্ত সমস্যা সহ মানুষের একাধিক সমস্যার সমাধান করেছেন বহু। আইন বিভাগে পাঠরত ছাত্র-ছাত্রীরাও পাঠ নেন তার কাছে। মহিউদ্দীন আহমেদ বলেন, এই কাজ করতে এসে অনেক অভিজ্ঞতা হয়েছে। সাধারন গরিব, লেখাপড়া না জানা মানুষের এখনও আইন আদালত পুলিশ প্রশাসন সম্পর্কে সেরকম ধারনা নেই। অজ্ঞতার বসে নিজেরা অনেকেই ভুল পথে পরিচালিত হয়। আদালতকে ভয় করে, পুলিশকে খারাপ ভাবে।আপনজন: ডিষ্ট্রিক লিগ্যাল সার্ভিসেস অথরিটির একজন আইনী সহায়ক হিসেবে বিগত সাত বছরে দুই হাজারেরও বেশী ভাঙ্গা সংসার জুড়ে দিয়ে বেশ নজড় কেরেছেন বোলপুরের মহিউদ্দীন আহমেদ।প্রায় হাজার দুয়েক ভাঙা সংসার জোড়া লাগানোর পাশাপাশি নাবালিকা কন্যার বিয়ে বন্ধ করেছেন শ খানেকেরও বেশী। আর বিভিন্ন সমস্যা জর্জরিত হাজার হাজার মানুষকে দিয়েছেন আইনী সহায়তা। সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত এই মহিউদ্দীনকে থানার পুলিশ অফিসার, সমাজকর্মী, বিভিন্ন সংস্থা, রাজনৈতিক নেতা থেকে সাধারন মানুষ সারাদিনে ফোন করে জানান তাদের সমস্যার কথা। বোলপুরের পার্শ্ববর্তী শান্তিনিকেতন থানার লোহাগড় গ্রামে জন্ম মহিউদ্দীনের। বাংলা অর্নাস নিয়ে গ্র্যাজুয়েট করার পর বেশ কয়েক বছর একাধিক সাপ্তাহিক ও দৈনিক পত্রিকায় করেছেন সাংবাদিকতা। সাংবাদিকতা করার সময় একদিন খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে পরিচিত হন এক জজ সাহেবের সঙ্গে। সেই সূত্র ধরেই যোগ দেন সিউড়ী জেলা আদালতের ডিষ্ট্রিক লিগ্যাল সার্ভিসেস অথরিটি বা জেলা আইনী পরিষেবা কতৃপক্ষের সঙ্গে। ২০১৮ সালে তাকে প্রথম বোলপুর ও শান্তিনিকেতন থানায় নিয়োগ করা হয়। সাধারন মানুষকে আইনী সহায়তা, ছোটখাট বিবাদ নিষ্পত্তি, সাধারন মানুষকে আইনী বিষয়ে সচেতনতা করা সহ একাধিক আইনী সহায়তা বিষয়ক কাজ করেন তিনি। লক ডাউনের সময় উকিল বাবুরা যখন কর্মবিরতি পালন করছিলেন তখন বিশেষ আদেশে জেল বন্দী দের হয়ে অনেক কাজ করেন। আদালত যাদের জামিন মঞ্জুর করতো তাদের কাগজপত্র রেডি করে জেল থেকে মুক্ত করার কাজও করেছেন লক ডাউনের সময়। ভিনরাজ্যে আটকে পড়া অনেক পরিযায়ী শ্রমিককে বীরভূমে ফিরিয়ে আনতে বিষেশ উদ্যোগ নিয়ে তাদের বাড়ী ফিরিয়ে আনেন এই মহিউদ্দীন।
মহিউদ্দীনের কাজ কর্ম দেখে একাধিক সংগঠন সম্বর্ধনাও দিয়েছে, আকাশবাণীতে আইনী সহায়তা বিষয়ক বক্তব্য সম্প্রচার হয়েছে, তার কাজের খবর প্রকাশিত হয়েছে একাধিক সংবাদপত্রে। ডিষ্ট্রিক লিগ্যাল সার্ভিসেস অথরিটির বিচারে পরপর তিনবার জেলা থেকে “সেরা আইনী সহায়ক” হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন। সম্প্রতী ভিনরাজ্যে আটকে থাকা নির্যাতনের শিকার হওয়া এক কিশোরীকে উদ্ধার করার বিষয়ে বিশেষ উদ্যোগ নেন।
শান্তিনিকেতনের সমাজকর্মী শিক্ষিকা মনীষা বন্দ্যোপাধ্যায বলেন, মহিউদ্দীন কাজের ছেলে। অনেক সমস্যা জর্জরিত মহিলাকে ওর কাছে পাঠিয়েছিলাম। সবাই উপকৃত হয়েছেন। শান্তিনিকেতনের সমাজসেবী আমিনুল হুদা বলেন, বোলপুর এলাকার অনেকের অনেক সমস্যা নআমি ওর কাছেই পাঠিয়েছি, অনেকের হেল্প করেছে।
বর্তমানে তিনি বোলপুর, শান্তিনিকেতন, ইলামবাজার থানায়, বোলপুর সংশোধনাগারে কাজ করছেন আইনী সহায়তা দেবার বিষয়ে। জেলা পুলিশের একাধিক উচ্চ পদস্থ কর্তা থেকে প্রশাসনের আধিকারিক, আদালতের মহামান্য বিচারকদের সুসম্পর্কও তৈরী হয়েছে তার। সমাজের মানুষকে সচেতন করতে সোস্যাল মিডিয়া ব্যাবহার করে “মহির কলম” নামে ইউ টিউব চ্যানেলও রয়েছে তার। যেখানে সামাজিক সচেতনতা সহ তথ্যমূলক প্রতিবেদন তুলে ধরেন। এই মহিউদ্দীনের কাছ থেকে সমাজের প্রান্তিক পিছিয়ে পড়া বহু দুঃস্থ গরিব মানুষ উপকৃত হয়েছেন। বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ, সাইবার ক্রাইম, ইভটিজিং থেকে সুরক্ষা সহ নানা বিষয়ে স্কুল ছাত্র-ছাত্রী থেকে সাধারন মানুষকে সচেতন করার শিবিরও করেছেন হাজার খানেক। স্বামী স্ত্রীর মধ্যে সাংসারিক অশান্তি বা আত্মীয় স্বজনদের মধ্যে জমি জায়গা সংক্রান্ত সমস্যা সহ মানুষের একাধিক সমস্যার সমাধান করেছেন বহু। আইন বিভাগে পাঠরত ছাত্র-ছাত্রীরাও পাঠ নেন তার কাছে। মহিউদ্দীন আহমেদ বলেন, এই কাজ করতে এসে অনেক অভিজ্ঞতা হয়েছে। সাধারন গরিব, লেখাপড়া না জানা মানুষের এখনও আইন আদালত পুলিশ প্রশাসন সম্পর্কে সেরকম ধারনা নেই। অজ্ঞতার বসে নিজেরা অনেকেই ভুল পথে পরিচালিত হয়। আদালতকে ভয় করে, পুলিশকে খারাপ ভাবে।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct