আপনজন ডেস্ক: ফিলিস্তিনের গাজা ভূখণ্ডের চলমান সংকটের মধ্যে, কিছু রেস্তোরাঁ এবং ক্যাফে খুলে স্থানীয়দের জন্য স্বস্তি এনে দিয়েছে। যদিও গাজা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে এবং ৯০ শতাংশের বেশি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত, তবুও গাজাবাসীরা তাদের জীবনকে কিছুটা স্বাভাবিক করতে চেষ্টা করছে। যুদ্ধের ফলে বেকারত্ব এবং খাদ্য সংকট সত্ত্বেও, কিছু ছোট ব্যবসা যেমন রেস্তোরাঁ এবং ক্যাফে স্থানীয়দের জীবনে কিছু শান্তি এবং আনন্দ ফিরিয়ে এনেছে। গাজা শহরের খান ইউনিসে, “আল-সাওফিরি” নামের একটি রেস্তোরাঁ সম্প্রতি পুনরায় খোলা হয়েছে। এখানকার মালিক রায়েদ আল-সাওফিরি ২৩ বছর বয়সী যুবক, যিনি এর আগে রেস্তোরাঁ ব্যবসায় কোন অভিজ্ঞতা ছিল না। যুদ্ধের কারণে তিনি বারবার স্থান পরিবর্তন করেছেন এবং শেষ পর্যন্ত খান ইউনিসে তার ব্যবসা শুরু করেন। তিনি বলেন, “যদিও যুদ্ধের মধ্যে থাকা কঠিন ছিল, আমি থেমে থাকিনি। মানুষদের কাছ থেকে যে সাড়া পেয়েছি তা অসাধারণ।” বিপুল ধ্বংস সত্ত্বেও, গাজাবাসীরা আবার তাদের জীবন চালিয়ে নিতে চায়। রেস্তোরাঁ ও ক্যাফেগুলো খুলে তাদের মাঝে কিছু সময়ের জন্য শান্তি ফিরিয়ে এসেছে। নিভিন কাদেহ, একজন স্থানীয় বাসিন্দা, জানান যে তারা গত বছর যুদ্ধ শুরুর আগে পরিবারের সঙ্গে শেষবারের মতো বাইরে গিয়েছিলেন। যদিও এখন তাদের বাড়ি এবং সঞ্চয় সব হারিয়েছে, তবুও তারা এই এক রাতের জন্য নিজেদের দুঃখ ভুলে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। গাজার বর্তমান পরিস্থিতি ভয়াবহ হলেও, মানুষরা আবার নতুন করে কাজ শুরু করতে চায়। তবে একাধিক সংস্থা বলছে, গাজার ধ্বংসাবশেষ পরিষ্কার করা, যা বিষাক্ত রাসায়নিক এবং অবিস্ফোরিত বোমা দ্বারা দূষিত, তা করতে ১৫ বছর সময় লাগতে পারে। এই ধ্বংসাবশেষ পরিষ্কার করার জন্য এখনো প্রচুর খরচ এবং মানবসম্পদ প্রয়োজন। এমন পরিস্থিতির মধ্যে, আল-সাওফিরির মতো ছোট ব্যবসা এবং রেস্তোরাঁগুলো গাজার পুনর্গঠনে সহায়তা করতে পারে। গাজাবাসীদের অবিচলতা এবং দৃঢ়তা সত্যিই প্রশংসনীয়। তবে, পুরো অঞ্চলটির পুনর্গঠন একটি বড় চ্যালেঞ্জ, যা কেবল স্থানীয়দের প্রচেষ্টা এবং আন্তর্জাতিক সহায়তার মাধ্যমে সম্ভব। এর মধ্যে, গাজার মানুষের আত্মবিশ্বাস এবং দৃঢ়তা, তাদের ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতির প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করছে, যা তাদের জন্য একটি নতুন শুরু এনে দিতে পারে।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct