সাবের আলি , বড়ঞা, আপনজন: মুর্শিদাবাদ জেলার বড়ঞা ব্লকের কুলি গ্রাম পঞ্চায়েতের কাটনা গ্রামের। আজমিরা খাতুন । কুলি কলেজ ঘোষ স্কুলের, গাফিলতির কারণে মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসতে পারছে না। আজমিরা খাতুন এর পরিবারের অভিযোগ, সময়মতো সমস্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা সত্ত্বেও বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দায়িত্বজ্ঞানহীনতার কারণে সে পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ হারিয়েছে।
পরিবারের দাবি, আজমিরা খাতুন যথাযথভাবে ফর্ম পূরণ করেছিল এবং বিদ্যালয়ের সব নিয়ম মেনে চলেছিল। কিন্তু বিদ্যালয়ের প্রশাসনিক গাফিলতির ফলে তার নাম পরীক্ষার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়নি। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর অভিভাবকরা বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ জানান, তবে এখনো সমস্যার সমাধান হয়নি।
আজমিরা খাতুন বলেন আমি কুলি কলেজ ঘোষ স্কুলের ছাত্রী আমি নিয়ম মত সবকিছু পূরণ করেছি। আমার রেজিস্ট্রেশন কার্ড এসছে। কিন্তু আমি যখন স্কুলে গিয়ে আমার অ্যাডমিট কার্ডটা নিতে যায় তখন স্কুলের ক্লার্ক মানিক স্যার বলেন এ বছর তুমি পরীক্ষায় বসতে পারবে না। তোমার এডমিট কার্ড আসেনি। এই কথা শুনে ওই ছাত্রী কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে। আজমিরা খাতুন এর বাবা আজিমুল মল্লিক, বলেন স্কুল কর্তৃপক্ষের গাফিলতির জন্যই এমনটা হয়েছে।
এ ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দারাও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তাদের মতে, বিদ্যালয়ের দায়িত্বহীনতার ফলে এক মেধাবী ছাত্রীর ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। আজমিরা খাতুন এবং তার পরিবার বিষয়টি সংশ্লিষ্ট শিক্ষা দপ্তর ও জেলা প্রশাসনের নজরে আনার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
অন্যদিকে, বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, অতি শীঘ্রই সমস্যার সমাধান করা হবে এবং ছাত্রীটি যাতে পরীক্ষায় বসতে পারে, তার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তবে শিক্ষার মতো গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে এ ধরনের গাফিলতি স্কুল কর্তৃপক্ষের দায়িত্বজ্ঞান নিয়ে প্রশ্ন তুলছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা প্রশাসনিক হস্তক্ষেপের দাবি জানিয়ে আজমিরা খাতুনের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন। এখন দেখার বিষয়, কত দ্রুত সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct