আপনজন: গত ২৯শে জানুয়ারি এক বাঙালি ভাই চুঁচুড়া মুখ্য ডাকঘরের ২ নং কাউন্টারে পার্সেল যান। সেই কাউন্টারে বহিরাগত সঞ্জয় কুমার হিন্দি কথা বুঝতে না পাড়ায় সেই বাঙালি গ্রাহক তাকে বাংলা ভাষায় পরিষেবা দেওয়ার অনুরোধ করেন। অভিযোগ, সেই বহিরাগত কর্মচারী উদ্ধত আচরণ করে জানান - এটা দিদির জায়গা নয় এটা মোদির জায়গা, এখানে হিন্দিই চলবে।
চুঁচুড়া মুখ্য ডাকঘরে বহিরাগত কর্মচারী সঞ্জয় কুমারও বাঙালি গ্রাহককে একই ভাবে হেনস্থা করে বলে অভিযোগ। তাদের বিরুদ্ধে চুঁচুড়া মুখ্য ডাকঘরে স্মারকলিপি প্রদান কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন হুগলি জেলা বাংলাপক্ষর দফতর সম্পাদক সুমন ব্যানার্জী, অভিষেক পাল, সুদর্শন প্রামাণিক, মনোজ মান্না, অমিত দত্ত সহ বিভিন্ন সহযোদ্ধারা।
স্বারকলিপি দেওয়া পরে বাংলাপক্ষ হুগলীজেলার দফতর সম্পাদক সুমন বাবু জানালেন- চুঁচুড়া মুখ্য ডাকঘরের পোস্টমাস্টার এবং উত্তর হুগলি বিভাগের অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপারিনটেনডেন্ট কর্তৃপক্ষকে বাংলা ভাষায় বাধ্যতামূলকভাবে পরিষেবা দাবিতে যে স্বারকলিপি দেওয়া হয়েছে তাতে তিনটি দাবিগুলির উল্লেখ করা হয়েছে -
১. পোস্ট অফিসের প্রত্যেকটি ডিসপ্লে বোর্ড, বিজ্ঞপ্তি, সার্কুলার বাংলা ভাষায় প্রকাশ করতে হবে।
২. লেনদেন সম্পর্কিত প্রতিটা পুস্তিকা, স্লিপ, ফর্ম, ইত্যাদি বাংলা ভাষায় হতে হবে।
৩. পোস্ট অফিসের প্রত্যেক কর্মীকে বাংলা জানতে হবে এবং বাঙালিকে বাংলা ভাষায় পরিষেবা দিতে হবে।
তিনি এও জানালেন কর্তৃপক্ষর সাথে সদর্থক আলোচনা হয়েছে। বহিরাগত সঞ্জয় কুমারের বিরুদ্ধে ডিপার্টমেন্টাল ইনকুয়ারি হবে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে । সুমন বাবু আরও বলেন, বাংলার মাটিতে বাঙালিকে তার নিজের মাতৃভাষায় পরিষেবা না দিলে বাংলাপক্ষ প্রতিক্ষেত্রেই প্রতিবাদ বিক্ষোভ করে এবং ভবিষ্যতেও করবে। বাঙালির উপরে বহিরাগতদের জোড় করে হিন্দি চাপিয়ে দেওয়া বাংলাপক্ষ মানবে না এবং তীব্র প্রতিবাদ গড়ে তুলবে।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct