আপনজন: সরকারি ক্রয় কেন্দ্রে ফড়েদের চোখ বন্ধ করে ধান কেনা হলেও সাধারণ চাষিদের ধানে বাদ দেওয়া হচ্ছে কুইন্ট্যাল প্রতি ৫ থেকে ১০ কিলো, প্রতিবাদে রাস্তায় ধান ফেলে অবরোধ ।
সরকারি ধান ক্রয় কেন্দ্রে চোখ বন্ধ করে ফড়েদের ধান কিনে নেওয়া হলেও সাধারণ চাষিদের ধানে কুইন্ট্যাল প্রতি বাদ দেওয়া হচ্ছে ৫ থেকে ১০ কিলো। বাটা হিসাবে বাদ দেওয়া সেই ধানের হিসাব লেখা হচ্ছে না রসিদেও। এরই প্রতিবাদে রাস্তায় নিজেদের ধান ছড়িয়ে অবরোধে সামিল হলেন স্থানীয় চাষীরা। আজ দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার কেচন্দা এলাকায়।
বাঁকুড়ার খাতড়া ব্লকের কেচন্দা এলাকায় কিষাণ মান্ডিতে সরকারি সহায়ক মূল্যে ধান কেনার শিবির তৈরী করা হয়েছে। সেখানে সরকারি আধিকারিকরা প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে বসে সরকারি সহায়ক মূল্যে চাষিদের কাছ থেকে ধান কিনছেন। আর সেখানেই ব্যাপক বেনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ নিয়ম বহির্ভূত ভাবে ওই ধান ক্রয় কেন্দ্রে সরকারি সহায়ক মূল্যে শুধু ফড়েদের কাছ থেকেই ধান কেনা হচ্ছে তাই নয়, ফড়েদের ধানের ক্ষেত্রে কোনো বাটা নেওয়া হচ্ছে না। অর্থাৎ যেমন খুশি ধান আনলেও তা অনায়াসেই কোনো কিছু বাদ না দিয়েই তা সরকারি সহায়ক মূল্যে কিনে নিচ্ছে সরকারি আধিকারিকরা। অন্যদিকে সাধারণ চাষিরা ওই ধান ক্রয় কেন্দ্রে বিক্রির উদ্যেশ্যে নিজেদের উৎপাদিত ধান নিয়ে গেলেই বিভিন্ন অজুহাতে কুইন্ট্যাল প্রতি ৫ থেকে ১০ কিলো বাদ দিয়ে দেওয়া হচ্ছে। বাটা হিসাবে বাদ দেওয়া সেই অংশের কোনো উল্লেখও থাকছে না রসিদে। দিনের পর দিন সরকারি আধিকারিকদের এই খামখেয়ালিপনার বিরুদ্ধে আজ গর্জে ওঠেন স্থানীয় চাষিরা। কেচন্দার কাছে বাঁকুড়া রানীবাঁধ রাজ্য সড়কের উপর নিজেদের উৎপাদিত ধান ফেলে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন ক্ষুব্ধ চাষিরা। স্থানীয় কৃষি আধিকারিকরা অবশ্য ফড়েদের ধান কেনার অভিযোগ মানতে চাননি। তবে তাঁদের দাবী সাধারণ চাষিদের ধানে কিছুক্ষেত্রে অতিরিক্ত পরিমাণে আবর্জনা ও অতিরিক্ত আর্দ্রতা থাকার কারনে সরকারি নিয়ম মেনেই কুইন্ট্যাল পিছু নির্দিষ্ট হারে বাদ দেওয়া হচ্ছে।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct