আপনজন ডেস্ক: গাজার ফিলিস্তিনিদের অন্য দেশে সরিয়ে দেওয়া নিয়ে ট্রাম্পের পরিকল্পনার বিরুদ্ধে রাফাহ সীমান্ত ক্রসিংয়ে বিক্ষোভ করেছে হাজার হাজার মিশরীয়। প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি ট্রাম্পের ধারণা প্রত্যাখ্যান করার পর রাষ্ট্র অনুমোদিত বিরল এই প্রতিবাদের আয়োজন করা হলো।
আনাদোলু এজেন্সির এক সংবাদদাতা জানিয়েছেন, ২৫ জানুয়ারি ট্রাম্প গাজা উপত্যকা খালি করার এবং জর্ডান ও মিশরে ফিলিস্তিনিদের পুনর্বাসনের প্রস্তাব দেওয়ার পর রাফাহ সীমান্তে এটিই প্রথম সমাবেশ।
বিক্ষোভকারীদের বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা যায়। তারা মিশর ও ফিলিস্তিনি পতাকা নাড়েন। সিনাইয়ের বাসিন্দা গাজি সাঈদ বলেন, সিনাই দ্বীপে মিসরের ক্ষতি করে ফিলিস্তিন বা গাজার কোনো বাস্তুচ্যুতিকে আমরা ‘না’ বলেছি।
ট্রাম্প সম্প্রতি বলেছিলেন, মিশর এবং জর্ডানের উচিত গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের গ্রহণ করা। ১৫ মাস ধরে ইসরায়েলি বোমা হামলার পরে তিনি গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা প্রকাশ করেন।
এরপর মিশরের প্রেসিডেন্ট সিসি ঘোষণা করেন, তার দেশ ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতিতে অংশ নেবে না। এটি অবিচার, যা মিশর সহ্য করতে পারে না। তবে তিনি দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের প্রতি তার দেশের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।
জর্ডান, ইরাক, ফ্রান্স এবং জার্মানিসহ অনেক দেশের পাশাপাশি লীগ অফ আরব স্টেটস, ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থা এবং জাতিসংঘের মতো সংস্থাগুলো পুনর্বাসন পরিকল্পনার তীব্র বিরোধিতা করেছে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ৪৭ হাজার ৩০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। এছাড়া ১ লাখ ১১ হাজারেরও বেশি আহত হয়েছে। দীর্ঘ যুদ্ধের পর ১৯ জানুয়ারি গাজায় একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হয়েছে। ইসরায়েলি আক্রমণে ১১ হাজারেরও বেশি মানুষ নিখোঁজ রয়েছে।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct