নিজস্ব প্রতিবেদক , কলকাতা, আপনজন: “বঙ্গে আরবি-ফার্সি ভাষার চর্চা” শিরোনামে গত ২৮ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় সিনেট হলে উদযাপিত হল এক জাতীয় সেমিনার। এই সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. শান্তা দত্ত। তিনি এই সেমিনারের প্রধান পৃষ্ঠপোষক করেন। উপস্তিত ছিলেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. দেবাশীষ দাস,কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কলা বিভাগের ড. সনৎ কুমার নস্কর। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিট এবং ফাইনান্স অফিসার প্রফেসর ডক্টর যাদব কৃষ্ণ দাস। চারটি পর্বে এই সেমিনার আয়োজন করা হয়েছিল। দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্বে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা প্রফেসর, স্কলার ও শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিগন তাঁদের তাৎপর্যপূর্ণ বক্তব্য প্রদান করেন।বঙ্গে আরবি ফার্সি ভাষার চর্চা সম্বন্ধে বলতে গিয়ে,
বহু জ্ঞানগর্ভ তথ্য উঠে আসে।
বলাবাহুল্য, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে আরবি ও ফার্সি বিভাগ ১৯০৭ খ্রিস্টাব্দে চালু হয়েছিল। সেই পথ চলা থেকে নিয়ে আজ পর্যন্ত সুখ্যাতির সাথে আরবি ও ফার্সির প্রচার প্রসার ও উন্নতি সাধনে এই বিশ্ব বিদ্যালয়ের প্রফেসর এবং স্কলাররা অক্লান্ত পরিশ্রম করে আরবি ফার্সি বিভাগকে এক ঐতিহাসিক স্থানে আসীন করতে সক্ষম হয়েছেন।বহু কৃতি সন্তান এখান থেকে লালিত হয়ে দেশ-বিদেশের মাটিতে আরবি ও ফার্সি ভাষা প্রচার প্রসার ও সমৃদ্ধির পথ মসৃণ করে চলেছেন। উপাচার্য শান্তা দত্তের মন্তব্য এদিনের সেমিনারে নতুন মাত্রা দিয়েছে। তিনি জানান, প্রত্যেক ভাষার নিজস্ব মর্যাদা আছে। সেই মর্যাদা অক্ষুন্ন রাখার প্রয়াস সেই ভাষাভাষীদের নিতে হবে। ভাষার প্রতি প্রেম প্রেম ভালোবাসা থাকা উচিত। ভাষা নিয়ে গর্ব হওয়া উচিত। প্রত্যেক বিভাগের ছাত্র-ছাত্রী সহ স্কলাররা সেই ভাষায় কথা বলুক। এতে ইউনিভার্সিটির সৌন্দর্য বাড়বে। প্রফেসর ড. অমিত দের সমাপনী বক্তব্য যথেষ্ট বাহ্বা পায়। ছবি: হাসানুজ্জামান পাইক
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct