X
৩১ জানুয়ারী, ২০২৫, শুক্রবার২১:৪২
সাবের আলি , বড়ঞা, আপনজন: মুর্শিদাবাদ জেলার বড়ঞা থানার কুনিয়া গ্রামের পরিযায়ী শ্রমিক। মালদ্বীপ কাজে গিয়ে মৃত্যু হয়। এক পরিযায়ী শ্রমিকের। আড়াই মাস ধরেই মালদ্বীপে রাজমিস্ত্রি লেবারের কাজে জীবিকা নির্বাহ করতেন। নাম জানারুল সেখ, বাড়ি মুর্শিদাবাদ জেলার ব্লকের বড়ঞা কের। কুনিয়া গ্রামের । বয়স ৪০ বছর। মৃতের পরিবার সূত্রে জানা যায় মালদ্বীপে তিনি পাবলিক সংস্থায় শ্রমিকের কাজ করতেন, ৩০জানুয়ারি ২০২৫ অসুস্থ হয়ে পড়ে মালদ্বীপ হাসপাতালে ভর্তি করেন, কিছুক্ষণ পর কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এরপর মৃতদেহটি মালদ্বীপ মর্গে পাঠানো হয়। পরিবারের লোকজন খবর পান গত ৩০ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখে। পরিবারের লোকজন জানতে পারেন গ্রামের এক যুবকের মারফত। মৃতার স্ত্রী সাজেরা বিবি বলেন আড়াই মাস যাওয়া হলো মেয়ের বিয়েতে অনেক ঋণ হয়ে গেছে। ঋণ পরিশোধ করার জন্য বিদেশে গিয়েছিল। বৃহস্পতিবার রাত্রি আটটার সময়। মালদ্বীপ থেকে ফোন আসে সে মারা গেছে। মেয়ের বিয়েতে এতগুলি ঋণ হয়ে গেছে সে চলে গেলো কি করে পরিশোধ করবো। এই ব্যক্তি ছিলেন এই পরিবারের একমাত্র উপার্জনশীল ব্যক্তি। পরিবারটি বেশ অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে দিয়ে চলছেন। পরিবারে রয়েছেন এক মেয়ে এক ছেলে এবং মৃতার স্ত্রী শারীরিক প্রতিবন্ধী। পরিযায়ী শ্রমিকের।ছেলে টারজেন শেখ বলেন বাবার আড়াই মাস হল বিদেশে যাওয়া। বোনের বিয়েতে অনেক ঋণ হয়ে গিয়েছিল। বাড়িতে থেকে সেটা পরিশোধ করা সম্ভব ছিল না। তাই আবার ঋণ করে বিদেশ গিয়েছিল বাবা সেখান থেকে রোজগার করে ঋণ পরিশোধ করবো বলেই গিয়েছিল তা আর হল না। কি করে আমাদের সংসার চলবে ভেবে উঠে পারছি না। মা গুমেরা বিবি বলেন আমার তিনটি ছেলে একটা ছেলে চলে গেল পৃথিবী ছেড়ে আমরা গরীব মানুষ কি করে সংসার চলবে। জানারুল শেখের মৃত্যুর খবর কুনিয়া গ্রামে পৌঁছাতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
