সঞ্জীব মল্লিক , বাঁকুড়া, আপনজন: সরকারি টাকায় ভাঙ্গা গড়ার খেলা। সরকারি টাকার পঞ্চায়েতের ড্রেন করা নিয়ে ওন্দায় জোর তর্জা ।
সরকারি টাকায় তৈরি ড্রেন। আর সেই ড্রেন তৈরির পর আবার ভেঙ্গে আবার নতুন করে নির্মাণ। সরকারী টাকায় ভাঙ্গা গড়ার খেলা ওন্দায়। আর এই ড্রেন কে ঘিরে উঠল নানান প্রশ্ন। কার জন্য এই ভাঙ্গা গড়ার খেলা তা নিয়ে বাঁকুড়ার ওন্দায় শুরু হল জোর তর্জা। তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য, ঠিকাদার আর নির্মান সহায়কের দিকে উঠল অভিযোগের তীর।
বাঁকুড়ার ওন্দা ব্লকের ওন্দা ১ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের একটি নতুন ড্রেন নিয়ে তর্জা। চলল ভাঙ্গা আবার গড়ার কাজ। পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গেছে সম্প্রতি ওন্দা ব্লকের ওন্দা ১ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত ৬০ নং জাতীয় সড়কের পাশে প্রায় ৭০ হাজার টাকায় একটি ড্রেনের কাজ হয়। সরকারী ভাবে বলা হয় নীলমনি গরাই বাড়ির সামনে থেকে পালপাড়ার দিকে যাবে ড্রেন। সেটা না করে একটি পরিবারের জন্য সরকারী টাকাতে ড্রেন বানানো হয়। সরকারী নিয়ম মেনে কাজ হয়নি সেই কাজ দেখেই স্থানীয় মানুষ সরকারী টাকার নয়ছয় হচ্ছে এই অভিযোগ জানায় ওন্দা ব্লকের বিডিও কে। সেই অভিযোগের পরেই তৈরি ড্রেন ভেঙ্গে আবার নতুন করে গড়ার কাজ শুরু হয়। একটি বাড়ির জন্য ড্রেন হচ্ছে সরকারী টাকায় এটা কোন ভাবেই মেনে নেওয়া হবে না সরব হন স্থানীয় মানুষ ও স্থানীয় তৃণমূলের একটা অংশ। স্থানীয় তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যের নির্দেশে এই কাজ হয়েছিল সেটা ভেঙ্গে সরকারী নিয়মে ফের কাজ হচ্ছে বলে দাবি করেছেন তৃণমূলেরই একটা অংশ। এখানে কিছু সদস্যের জন্য তৃণমূলের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে বলেও দাবি করেছে স্থানীয় তৃণমূলের কর্মীরা।
বিজেপি পরিচালিত ওন্দা ১ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের দাবি ঠিকাদার সংস্থা ও স্থানীয় তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য যোগসাজস করে সরকারী নিয়ম না মেনে কাজটি করেছে সেটা অভিযোগ পাওয়ার পরেই ভেঙ্গে করতে বলা হয়েছে। সরকারী যে নির্দেশ রয়েছে সেই নির্দেশ না মানলে কাজের কোন টাকা দেওয়া হবে না বলেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পঞ্চায়েতের তরফে।
স্থানীয় তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যের দাবি পঞ্চায়েতের নির্মান সহায়ক যেমন বলেছেন তেমন কাজ হয়েছে। তিনি কোন অন্যায়জনক কাজ করেননি। নির্মান সহায়কের ভুলে এই কাজ বলে পালটা অভিযোগ তুলেছেন ওই পঞ্চায়েত সদস্য ও স্থানীয় ঠিকাদার।
পঞ্চায়েতের নির্মাণ সহায়কের দাবি সরকারী যে নিয়ম ছিল সেই নিয়ম পালন করেননি ঠিকাদার। সেইজন্য ওই ঠিকাদার কে ভেঙ্গে আবার নতুন করে করতে বলা হয়েছে। ওই ঠিকাদার নিজের পকেটের টাকা খরচ করেই সেটা করবে।
আর না করলে সরকারী কাজের টাকা তাকে দেওয়া হবে না বলেই জানিয়েছে নির্মান সহায়ক।
একে অপরের উপর দায় চাপিয়ে নিজেকে বাঁচাতে চাইছে সকলেই।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct