এম মেহেদি সানি , খলতপুর, আপনজন: আল-আমীন মিশনের মূল ক্যাম্পাস হাওড়ার খলতপুরে দুদিন ব্যাপী বার্ষিক ‘আল আমীন উৎসব’-এর সূচনা হয় শনিবার ৷ রবিবার ৭৬ তম প্রজাতন্ত্র দিবস উদযাপনের মধ্যে দিয়ে ‘আল আমীন উৎসব’-এর দ্বিতীয় দিনের সূচনা হয় ৷ এ দিন সকালে আল- আমীন উৎসবে প্রজাতন্ত্র দিবসের নানা অনুষ্ঠানের ছায়া ফুটে উঠল। সেনাবাহিনীর কুচকাওয়াজ হয়তো নয়, কিন্তু আল আমীন মিশনের ছাত্রদের ‘সেনাবাহিনী’র আদলে প্যারেড প্রজাতন্ত্র দিবসের আবহ বিরাজমান ছিল। জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন মিশনের সাধারণ সম্পাদক ‘কর্নেল জেনারেল’ এম নুরুল ইসলাম, সঙ্গে ছিলেন মিশনের সুপারভাইজার সেখ মারুফ আজম ৷ পড়ুয়ারা জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন প্যারেড-এর পরতে পরতে ছিল প্রজাতন্ত্র দিবস উদযাপনের পরশ ৷ প্রজাতন্ত্র দিবস ও আমাদের কর্তব্য বিষয়ে

সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন এম নুরুল ইসলাম ও সেখ মারুফ আজম। এরপরেই শুরু হয় রক্তদান শিবির। রক্তদান করেন মিশনের কর্মকর্তা, অভিভাবক, প্রাক্তনী সহ স্থানীয়রাও। প্রথম দিনেই অতিথি ও বিশিষ্টজনদের সমাহারে আল- আমীন মিশনে বসেছিল চাঁদের হাট। 

দ্বিতীয় দিনের মূল অনুষ্ঠান শুরু হয় দুপুরের পর থেকেই ৷ এদিন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের সংখ্যালঘু কমিশনের চেয়ারম্যান আহমদ হাসান ইমরান ৷ 

অন্যান্য বিশিষ্টজনদের মধ্যে ছিলেন প্রতীচী ট্রাস্টের সাবির আহমদ সহ আল-আমীনের এক ঝাঁক উজ্জ্বল প্রাক্তনী। সুশৃংখলভাবে দুদিনের উৎসব যেন বুঝিয়ে দিচ্ছিল শিক্ষা ও শিক্ষার্থী ও শিক্ষাপ্রেমীদের প্রতি নিবেদিত প্রাণ আল-আমীন মিশন। আল-আমীন মিশনের বিশাল সুদৃশ্য ক্যাম্পাসে বিরাজ করছিল উৎসবের আমেজ।

এ দিন রাজ্যের সংখ্যালঘু কমিশনের চেয়ারম্যান আহমদ হাসান ইমরান আল-আমীন মিশনের ব্যাপ্তি ও ঐতিহার কথা তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন ৷ শিক্ষার গুরুত্ব এবং ভালো সমাজের শিক্ষার্থীদের উত্তরণের পথ দেখাতে আল - আমীন মিশনের ভূমিকা নিয়ে বক্তব্য রাখেন গবেষক সাবির আহমেদ ৷ মিশনের প্রাক্তন ছাত্র বর্তমান স্বনামধন্য চিকিৎসক ডা: এম এম শামীমের স্মৃতিচারণায় মুগ্ধ হন গোটা আল-আমীন পরিবার ৷ স্ব-স্ব ক্ষেত্রে সুপ্রতিষ্ঠিত আল-আমীন প্রাক্তনীদের শুভাগমনে জমজম করছিল গোটা ক্যাম্পাস ৷ অতীতের ছাত্রদের উৎসব মঞ্চে অতিথি হিসেবে সংবর্ধিত করছিলেন এম নুরুল ইসলাম ৷ বর্তমান শিক্ষার্থীদের উত্তরণের পথ দেখাতে অনুপ্রাণিত করছিলেন প্রাক্তনীরা ৷ এবছর ডাক্তারি পড়ার সুযোগ পাওয়া প্রথম সারির কৃতী শিক্ষার্থীদেরও সংবর্ধিত করা হয় ৷ দু’দিনের সমগ্র অনুষ্ঠানটি সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা রাখেন মিশনের অন্যতম কর্মকর্তা দিলদার হোসেন, হাফিজুর রহমান, জাহির আব্বাসরা ৷

শুরু কলকাতা বইমেলা, নেই বাংলাদেশের কোনও স্টল

‘গাজা’ নামের সুপার-হেভি ড্রোন উন্মোচন আইআরজিসির

দশম শ্রেণির ৫৫০ টাকা ভর্তি ফি জোগাড় করতে না পারায় আত্মঘাতী ছাত্রী