সাবির আহমেদ , মগরাহাট, আপনজন: দক্ষিণ ২৪ পরগনার শিয়ালদহ থেকে ডায়মন্ড হারবার দক্ষিণ শাখার মগরাহাট স্টেশন সংলগ্ন রমজানিয়া মার্কাজে বাংলায় তাবলীগ জামাতের আগমনের সূচনা লগ্ন থেকে প্রতিবছর বাৎসরিক ইজতেমা আয়োজন করা হয়। সূত্র থেকে জানা বাংলা তথা মগরাহাটের তাবলীগ জামাতের রাহবার ছিলেন মাওলানা হক্ক সাহেব (রঃ) তিনি ছিলেন এই ইজতেমার প্রতিষ্ঠাতা। পরে আব্দুল ওহাব সাহেব, মাওলানা এহিয়া, মাওলানা আব্দুল হাকিম সাহেব প্রমুখ প্রথম সারির তাবলীগের মুরুব্বীগন ছিলেন।
গত ইং ২৫, ২৬ ও ২৭ জানুয়ারি তিন দিন ব্যাপী এই ইজতেমা চলে। তবে ২৪ জানুয়ারি শুক্রবার জুম্মার সময় থেকেই ইজতেমা শুরু হয়। দীর্ঘ দিন স্টেশন সংলগ্ন রমজানিয়া মার্কাজে ইজতেমা হত। কিন্তু জনসমাগম বেশি হওয়ায় রমজানীয়া মার্কাজে স্থান সংকুলান দেখা দেয়।সেজন্য নিকটবর্তী হলুদ বেড়িয়া চাষযোগ্য মাঠে গত ২০২৪ সাল থেকে ইজতেমা স্থানান্তর করা হয়। বিশাল জমিতে বিশাল প্যান্ডেল, উনিশটি হালকার আহারের স্টল, ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প, ফ্রি চা, পানীয়, খাদ্য খাবার, অ্যাম্বুলেন্স ও অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা। ক্যাম্পগুলো ছিল এক একটি মসজিদের নামে।সমগ্র ইজতেমা স্থলে কোন রকম দোকান বসা ছিল কমিটির পক্ষ থেকে নিষিদ্ধ।
কমিটির সদস্যদের মতে, মানুষ মূল্যবান সময় নিয়ে আসে দ্বীনের কথা শুনতে ও দাওয়াতের গুরুত্ব বুঝতে। কিন্তু দোকান থাকলে মানুষ তাঁদের মূল্যবান সময় দোকানে ঘুরে কাটিয়ে দেয় তাই আমরা দোকান বসানোর পক্ষে নই। সেজন্য বয়ান শেষ হওয়ার সাথে সাথেই খাবারের স্টল গুলো খুলে দেওয়া হত এবং মানুষের মেহমান দারি করার জন্য সাথীরা প্রস্তুত থাকতেন।
আল্লাহর দ্বীনকে বিশ্ববাসীর ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়ার ব্রত নিয়ে পৃথিবী জুড়ে যে মেহনত করছে তবলীগ জামাত। বিশ্বের অধিকাংশ মুসলমানকে এই দাওয়াতী কাজের সামিল করতে পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে বড় বড় ইজতেমার আয়োজন। সেই রূপ আয়োজনের অংশ হিসেবে হলুদ বেড়িয়াতে ৩ দিনের এই ইজতেমা। লক্ষ লক্ষ মানুষ ইজতেমাতে আসেন, মুরুব্বীদের কথা মনোযোগ দিয়ে শোনেন। এবং নিজেদেরকে জিকির, ফরজ সালাতের সাথে নফল সালাত তাহাজ্জুদ,ইসরাক , আওয়াবিন ও তেলাওয়াতের মাধ্যমে অতিবাহিত করেন।
শেষ দিন সোমবার সকাল ১০ টার পর বিশ্বের সমস্ত উম্মাহর উভয় জগতে সকল কল্যাণ, সুখ, সমৃদ্ধির দোয়া প্রার্থনা করে দোয়ার মাধ্যমে ইজতেমার সমাপ্তি হয়।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct