মতিয়ার রহমান, বুনিয়াদপুর, আপনজন: দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বাসুরিয়া সিনিয়র মাদ্রাসায় পিএফের টাকা তুলে নেওয়ার অভিযোগ উঠল। অভিযোগ, গ্রুপ ডি স্টাফ হবিবর রহমানের অজান্তে পিএফ একাউন্ট থেকে দুই কিস্তিতে অফেরতযোগ্য মোট ৫,৮৮,০০০ টাকা অবৈধভাবে তোলা হয়েছে। আরও অভিযোগ, ওই মাদ্রাসার জীব বিজ্ঞানের শিক্ষক মোঃ আবুল কাশেম মিয়ার পিএফ একাউন্ট থেকে অবৈধভাবে অফেরতযোগ্য ৩,০৩৬২১ টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে এবং ওই টাকা মাদ্রাসার পাশের গ্রামের একই নামে নাম আবুল কাশেম মিয়ার একাউন্টে জমা হয়েছে। আবার মাদ্রাসার পি এফ অ্যাকাউন্ট থেকে মোট ৩,০০,০০০ টাকা সরিয়ে মাদ্রাসার পাশে জোরকড়িয়া গ্রামের ছেলে হান্নান মিয়ার ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার একাউন্ট নাম্বার ৫০৭৫১০১১০০০০৩৪৯ নামক একাউন্টে জমা হয়েছে বলেও অভিযোগ করা হয়েছে। ওই মাদ্রাসার করণিক রাজ্জাক মিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি নাকি মোট ২ কিস্তিতে ৪,৪৩,০০০এবং ২,৯৯,৯১৬ টাকা তুলেছেন অথচ ওই পরিমাণ টাকা ওনার পিএফ একাউন্টে জমা হয়নি। জানা গেছে, ওই মাদ্রাসারই শিক্ষক মোঃ মকবুল হোসেন ২০১২ সালে অবসর গ্রহণ করেন। তার অভিযোগ, ১২ বছর কেটে গেলেও তিনি পিএফ অ্যাকাউন্ট থেকে তার নিজের জমানো একটিও টাকা হাতে পাইনি এখনো পর্যন্ত। দুর্নীতির শিকার হওয়া শিক্ষক এবং শিক্ষা কর্মীরা ডি আই সহ অন্যান্য সরকারি দপ্তরে সমস্ত বিষয়টি তথ্য প্রমাণসহ লিখিতভাবে জানিয়েও কোন সুরাহা পাইনি বলে দাবি করেছেন। বর্তমান ম্যানেজিং কমিটি এবং মাদ্রাসা সুপারিনটেনডেন্ট টাকা আত্মসাৎকারীদের বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ না করে বরং তারা তাদের আড়াল করা এবং বাঁচানোর চেষ্টায় মরিয়া হয়ে উঠেছে বলে অভিযোগ এক শ্রেণির শিক্ষকের।
যদিও এ প্রসঙ্গে এই মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককে এই প্রতিবেদক মতামত জানতে চাইলে তিনি বলেন, করণিক রাজ্জাক মিয়া তার দায় স্বীকার করেছেন। এ ব্যাপারে একটি রেজ্যুলেশনও লেখা হয়েছে।
ক্ষক মো আব্দুল মোতালেব মিয়া বলেন মাদ্রাসার শিক্ষক এবং শিক্ষক কর্মীদের পিএফ এর টাকা যারা আইনকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে আত্মসাৎ করেছেন এবং মিড ডে মিল নিয়ে যারা নয় ছয় করছেন তাদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ ইতিমধ্যে পশ্চিমবঙ্গ মাদ্রাসা শিক্ষা পর্ষদে জানানো হয়েছে। পর্ষদ এই বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখবেন বলে তাদেরকে জানিয়েছেন।
অন্যদিকে, মাদ্রাসার মিড ডে মিল নিয়েও ওই মাদ্রাসার শিক্ষক ও অভিভাবক মহলে ও রয়েছে ভুরি ভুরি অভিযোগ। অভিযোগ উঠেছে, মাদ্রাসায় প্রতিদিন যত ছাত্র উপস্থিত হয় তার দুই গুণ বেশি ছাত্র-ছাত্রী উপস্থিত দেখিয়ে এসএমএস পাঠানো হয় যা ছাত্রছাত্রীদের হাজিরা খাতার সাথে এসএমএসে কোন মিল নেই। এইভাবে ছাত্র বেশি দেখিয়ে সেই টাকা আত্মসাৎ করা হয় বলে বিভিন্ন মহল অভিযোগ করেছে। যদিও এ ব্যাপারে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ কোনও মন্তব্য করেননি বা মতামত জানা যায়নি।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct