আরবাজ মোল্লা, নদিয়া, আপনজন: সকালে আবারো তল্লাশি করে নতুন করে আরেকটি বাঙ্কার উদ্ধার করে বিএসএফ। এই নিয়ে মোট আমবাগান ও চাষের জমির একইএলাকা থেকে চারটি বাঙ্কার উদ্ধার করে বিএসএফ।এই বাঙ্কার গুলিতে থরে থরে বস্তা বস্তা সাজানো ছিল ফেনসিডিল। বাঙ্কারের উচ্চতা প্রায় ১০ থেকে ১২ ফুট, দৈর্ঘ্য ১৫ ফুট এবং প্রস্থ ১২ ফুট যা একেকটি বড় বড় কন্টেইনারের সমান।এই কাজ একদিনে করা সম্ভব নয় অর্থাৎ দীর্ঘদিন ধরে ওই আম বাগানে ছিল এই লোহার বাঙ্কার।তাহলে এখানেই উঠছে প্রশ্ন প্রশাসনের নজর এড়িয়ে কিভাবেই তৈরি হল এই বাংকার যা একার দ্বারা তৈরি করা সম্ভব নয়।অর্থাৎ দীর্ঘদিন ধরে একের পর এক বাংকার তৈরি হয়েছে এবং একাধিক শ্রমিক বা মিস্ত্রি দিয়ে।সেই বাঙ্কার গুলি একে একে উদ্ধার করছে বা মাটির নিচে থেকে উদ্ধারের কাজ শুরু করেছে বিএসএফ।সকাল থেকেই মড়িয়া প্রচেষ্টা চলছে বিএসএফের কিন্তু স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের দেখা নেই ঘটনাস্থলে। বিএসএফের তরফ থেকে বারংবার পুলিশ প্রশাসনকে খবর দেওয়া হলেও এখনো ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়নি স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন। বাঙ্কার উদ্ধারের কাজে নিযুক্ত করা হয়েছে জেসিবি। তবে এক একটা বাঙ্কারের যা আকার বা আয়তন তাতে করে একটি জেসিবি দিয়ে এত বড় বাঙ্কার তোলা সম্ভব নয়। খবর বাঙ্কার তোলার জন্য হাইডার সাহায্য নেওয়া হতে পারে । অর্থাৎ বাংকার উদ্ধারের কাজে আরও তৎপরতা বাড়াচ্ছে বিএসএফ।তবে এই ঘটনায় এখনো পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারিনি পুলিশ। ঘটনার তদন্ত চলছে। অন্যদিকে এত বাঙ্কার উদ্ধার হওয়ায় আতঙ্কে স্থানীয় বাসিন্দারা । স্থানীয় বাসিন্দারা ভয়ে কিছু বলতে সাহস পাচ্ছেন না । এলাকার বিশিষ্ট সমাজসেবী শ্রী স্বপন কুমার ভৌমিক ঘটনাস্থলে যান । তিনি পক্ষান্তরে পুলিশ প্রশাসনকেই দায়ী করেন । তিনি বলেন দীর্ঘদিন ধরে অনৈতিক কাজ চলছে অথচ পুলিশ জানতে পারে না এটা হতে পারে না । তিনি ক্ষোভের সঙ্গে বলেন পুলিশের এব্যাপারে তৎপর হওয়া উচিত ও দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত ।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct