সঞ্জীব মল্লিক, বাঁকুড়া, আপনজন: বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের উপর শুধুমাত্র বিষ্ণুপুর মহকুমা এলাকার রোগীরাই নয়, চিকিৎসার ব্যপারে অনেকাংশে নির্ভরশীল পশ্চিম মেদিনীপুর ও হূগলী জেলার সীমানাবর্তী এলাকার মানুষও। কিন্তু এই হাসপাতালে যাতায়াতের পথ এতটাই সংকীর্ণ যে তা দিয়ে বড় গাড়ি বা বড় এম্বুলেন্স যাতায়াত করা দুঃসাধ্য। সৌজন্যে জবরদখল। অভিযোগ দশকের পর দশক ধরে হাসপাতালের জায়গা দখল করে ব্যবসা চালিয়ে আসছেন স্থানীয় বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ী। সম্প্রতি হাসপাতালে যাতায়াতের সেই রাস্তা চওড়া করার উদ্যেশ্যে জবরদখল উচ্ছেদে নামে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
আগামী ২৫ জানুয়ারির মধ্যে উচ্ছেদের নোটিশ দেওয়া হয় জবরদখলকারীদের। আর এতেই শুরু হয় শোরগোল। জবরদখলকারীদের অভিযোগ হাসপাতালের জায়গা দখল করে এতদিন তাঁরা ব্যবসা চালিয়ে এলেও পুরসভাকে তাঁরা নিয়মিত ট্যাক্স দিয়ে এসেছেন। রয়েছে প্রয়োজনীয় ফুড লাইসেন্স ও অন্যান্য অনুমতিও। ফুড লাইসেন্স এর ভ্যালিড রয়েছে ২০২৯ সাল পর্যন্ত। তাই এখন তাঁদের উচ্ছেদ করা হলে আগে তাঁদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষর দাবী এতদিন জায়গা ফাঁকা ছিল। এখন জায়গাটি হাসপাতালের প্রয়োজন। তাই উচ্ছেদের নোটিশ দেওয়া হয়েছে। এতে পুনর্বাসন দেওয়ার কোনো প্রশ্ন নেই। হাসপাতালের জবরদখল করা ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে বিষ্ণুপুর পুরসভা কীভাবে ট্যাক্স সংগ্রহ করতে পারে তা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তবে সমগ্র ঘটনা নিয়ে বিষ্ণুপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।
এই দোকান গুলোর মধ্যে রয়েছে কম্পিউটার সাইন্সে বিটেক ইঞ্জিনিয়ার করা এক বেকার যুবকের দোকান, এই দোকান চলে গেলে পরবর্তীতে সে আর কি করবে ভেবে কুল পাচ্ছে না।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct